Babul Supriyo

Babul Supriyo: ভিক্টোরিয়ায় দিদির সঙ্গে ঝালমুড়ি, কী হয়েছিল সে দিন, বাবুল জানালেন বিস্তারিত

তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর থেকেই নানা মহল থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বাবুলের ঝালমুড়ি খাওয়ার প্রসঙ্গ উঠে আসছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৭:৫৪
Share:

ফাইল চিত্র

শনিবার তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন, রবিবার সেই বাবুল এলেন সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দিতে। ক্যামাক স্ট্রিটে তৃণমূলের কার্যালয়ে এসে বাবুল জানালেন, প্রিয়-অপ্রিয় সব প্রশ্নের জবাব দেবেন তিনি। আর সেখানেই উঠে এল ‘ঝালমুড়ি’ প্রসঙ্গ।

Advertisement

তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর নানা মহল থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বাবুলের ঝালমুড়ি খাওয়ার প্রসঙ্গ উঠে আসছে। বিজেপি-র নানা মহল থেকে বলা হচ্ছে, সেই ঝালমুড়ি খাওয়ার সময় থেকে তৃণমূলের সঙ্গে ‘আঁতাঁত’ তৈরি হয়েছে বাবুলের। বাবুল প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা অনুপম হাজরা একটি পোস্টে লেখেন, ‘তার মানে ‘ঝাল-মুড়ি’র রফা আগেই হয়ে গেছিল, জাস্ট অপেক্ষা করা হচ্ছিল রাজ্যসভাতে কী ভাবে পাঠানো যায়! তাই হয়তো বেচারি অর্পিতা দেবীকে এত তড়িঘড়ি করে রাজ্যসভা ছেড়ে থিয়েটারে মন দিতে বলা…।’ সেই প্রশ্নের উত্তরেই বাবুল বলেন, ‘‘আমি অনুপম হাজরার প্রশ্নের উত্তর দিতে চাই না। তার থেকে আমি হাজরা মোড়ে দাঁড়িয়ে কচুরি খাব, কিন্তু অনুপম হাজরার প্রশ্নের উত্তর দিতে চাই না।’’

এর পরেই বাবুল ঝালমুড়ি খাওয়ার বিষয়টি বিস্তারিত বলেন, ‘‘আপনারা জানেনই না, কেন ঝালমুড়ি খাইয়েছিলেন দিদি। ২০১৫ সালে স্বচ্ছ ভারত প্রকল্পের উদ্বোধনে কলকাতায় এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আমরা নজরুল মঞ্চে সেই অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলাম। নিরাপত্তার কারণে এলাকায় গাড়ি রাখতে দেওয়া হয়নি। প্রধানমন্ত্রীর গাড়ি বেরিয়ে যাওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রীর গাড়ি এসেছিল। মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘তুমি তো রাজভবনেই যাচ্ছ। ওখানে নৈশভোজ আছে। আমার গাড়িতে বসো।’ আমি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে এক গাড়িতে বসেছিলাম। নতুন মন্ত্রী হয়েছি তখন। আমার অনেকগুলো কথা বলার ছিল। তার মধ্যে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো অন্যতম, এ ছাড়া ইএসআই হাসপাতালের বিষয়টিও ছিল। মোট চারটি ইস্যু ছিল। গাড়িতে যাওয়ার সময় উনি ভিক্টোরিয়ার সামনে দাঁড়িয়েছিলেন। আমাকে ঝালমুড়ি খেতে বলেছিলেন। ভিক্টোরিয়ার সামনে যে কেউ বললেই আমি ঝালমুড়ি খাব। আর আমাকে এক জন প্রশাসনিক প্রধান বলছেন, তাই খেয়েছিলাম। কেন না বলব? কাজের জন্য শুধু ঝালমুড়ি কেন, বসে সকলের সঙ্গে কথা বলতে আমি রাজি। আগামী দিনে যদি কোনও বিজেপি-র মন্ত্রীর সঙ্গে বসতে হয় আর ধোকলা খেতে হয়, তা হলেও আমি রাজি।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement