রবিবার দলের ধর্না কর্মসূচির মঞ্চ থেকে রাজ্যপালের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজস্ব চিত্র।
রাজভবনের সামনে বিজেপির কর্মসূচি নিয়ে ভিন্ন অবস্থান নেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। আর তৃণমূলের কর্মসূচিতে তাঁর অবস্থান বদলে যায়। রবিবার দলের ধর্না কর্মসূচির মঞ্চ থেকে রাজ্যপালের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর প্রশ্ন, ‘‘রাজ্যপাল বলছেন ১৪৪ ধারা রয়েছে কী ভাবে ধর্না করে। কিন্তু বিজেপি সাত বার মিছিলের ক্ষেত্রে কেন এমন বলেননি?’’ আনন্দকে আক্রমণ করে অভিষেক বলেন, ‘‘আপনি বিজেপির রাজ্যপাল নন, বাংলার রাজ্যপাল। বাংলার প্রতি আপনার দায়বদ্ধতা থাকা উচিত।’’
১০০ দিনের কাজে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আর্থিক বঞ্চনার অভিযোগ তুলে রাজভবনে সামনে ধর্নায় বসেছে তৃণমূল। প্রধান নেতৃত্বে রয়েছেন অভিষেক। তাঁর সিদ্ধান্ত, কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে রাজ্যপালের কাছে বক্তব্য না জানিয়ে কর্মসূচি চালিয়ে নিয়ে যাবেন। তৃণমূল জানাচ্ছে, তাদের ধর্না নিয়ে অভিযোগ জানিয়ে চিঠি দিয়েছেন রাজ্যপাল। তাতেই আপত্তি জানিয়ে একের পর এক প্রশ্ন ছুড়ে দেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ। তিনি বলেন, ‘‘২০২১ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত সাত বার ১৪৪ ধারা লঙ্ঘন করে কর্মসূচি করেছে বিজেপি। একাধিক বার বিজেপি বিধায়করা মিছিল করে রাজভবনে গিয়েছেন। রাজভবনের বাইরে ভিড় করে সাংবাদিক বৈঠক করেছেন। তখন রাজ্যপালের দায়িত্ব কোথায় ছিল।’’ অভিষেকের কথায়, ‘‘দলে দলে বিজেপি বিধায়কের পায়ে হেঁটে রাজভবনে এসেছিলেন। তখন রাজ্যপাল পুলিশকে চিঠি দেননি। অথচ কর্মসূচির সময় আলাদা অবস্থান। বিজেপির প্রতি না থেকে বাংলার প্রতি দায়বদ্ধ হওয়া উচিত রাজ্যপালের।’’
প্রকল্পের টাকা না দেওয়ার অভিযোগ তুলে কেন্দ্রীয় সরকারের সমালোচনা করেন তৃণমূল নেতা। তাঁর দাবি, প্রায় দু’বছর ধরে ১০০ দিনের টাকা দেওয়া হচ্ছে না। ওই টাকা সুদসমেত সাধারণ মানুষকে ফেরত দিতে হবে। অভিষেক বলেন, ‘‘মনরেগার নিয়ম অনুযায়ী ১৫ দিনের মধ্যে উপভোক্তার কাছে প্রকল্পের টাকা পৌঁছনো দরকার। না হলে ১৬ দিনের পর থেকে সুদ দিতে হয়। নিজেদের সেই নিয়ম মানছে না কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকার।’’