Jhalda Municipality

পুরসভা পেয়েও ঘাসফুলে দ্বন্দ্ব কাঁটা

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ঝালদা শেষ আপডেট: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৮:৩৬
Share:

—প্রতীকী ছবি।

কংগ্রেসের হাত থেকে পুরুলিয়ার ঝালদা পুরসভা দখলে এনেও স্বস্তি নেই তৃণমূলে।

Advertisement

বুধবার কংগ্রেস সমর্থিত নির্দল পুরপ্রধান শীলা চট্টোপাধ্যায় ও চার কংগ্রেস পুরপ্রতিনিধির হাতে দলীয় পতাকা তুলে দিয়ে ঝালদা পুরসভা দখলের দাবি করেন তৃণমূল নেতৃত্ব। কিন্তু বৃহস্পতিবার পুরভবনে কংগ্রেসের উপপুরপ্রধান পূর্ণিমা কান্দু, কংগ্রেসের দলনেতা বিপ্লব কয়াল ও তৃণমূলের আগের পাঁচ পুরপ্রতিনিধি পূর্বঘোষিত জরুরি সভায় যোগ দিলেও গরহাজির ছিলেন শীলা-সহ সদ্য তৃণমূলে যোগ দেওয়া পাঁচ পুরপ্রতিনিধি। শীলাকে নিয়ে বিদ্রোহের সুর শোনা গিয়েছে তৃণমূলের আগের পুরপ্রতিনিধিদের একাংশের গলাতেও। সব মিলিয়ে ঝালদায় অন্য সমীকরণের আঁচ পাচ্ছেন অনেকে।

গত পুরভোটে ঝালদা পুরসভা দখল করে তৃণমূল। পরে নির্দল শীলা-সহ কংগ্রেসের সাত পুরপ্রতিনিধি অনাস্থা এনে গত নভেম্বরে তৃণমূলের পুরপ্রধান সুরেশ আগরওয়ালকে পদচ্যুত করেন। এ দিন পুরভবনে ‘সুরেশপন্থী’ পাঁচ তৃণমূল পুরপ্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠকের পরে পূর্ণিমা বলেন, ‘‘পুরপ্রধানের অনুপস্থিতিতে আমিই বৈঠকের নেতৃত্ব দিয়েছি।’’ তবে শীলার দাবি, এ দিনের বৈঠক বাতিল করার কথা আগেই পুরপ্রতিনিধিদের ফোনে জানিয়েছিলেন।

Advertisement

এ দিকে শীলাকে পুরপ্রধান রাখা হবে বলে বুধবার যোগদান-পর্বে স্থানীয় বাঘমুণ্ডির বিধায়ক সুশান্ত মাহাতো ঘোষণা করায় জলঘোলা শুরু হয়েছে। তৃণমূলের প্রাক্তন পুরপ্রধান সুরেশ এবং প্রাক্তন উপপুরপ্রধান সুদীপ কর্মকারের দাবি, ‘‘যোগদানের ব্যাপারে আমাদের অন্ধকারে রাখা হয়। কিছু দিন আগেও দলের সমস্ত পুরপ্রতিনিধিকে শীলা অপমান করেছেন। দল নিশ্চয় তাঁকে পুরপ্রধান হিসাবে চাপিয়ে দেবে না।’’ অপমানের অভিযোগ উড়িয়ে শীলা এ দিন দাবি করেন, ‘‘আমিই পুরপ্রধান থাকব। বিধায়কের সঙ্গে কথা হয়েছে।’’

তৃণমূলের ঝালদা দখল নিয়ে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর কটাক্ষ, ‘‘বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে ১২ সদস্যের ঝালদা পুরসভাও দখল করতে হবে, এমনই তাঁর ক্ষুধা।’’ তাঁর দাবি, ‘‘এই দখলের পিছনে পুলিশের ভূমিকা আছে, সন্ত্রাস আছে প্রলোভন আছে। আমি ভাল করে জানি ওঁরা মন থেকে (তৃণমূলে) যাননি।’’ বিতর্ক উস্কে পুরুলিয়া জেলা কংগ্রেস সভাপতি নেপাল মাহাতোর খোঁচা, ‘‘দল ভাঙানোর পরে ওদের বিধায়ক (সুশান্ত মাহাতো) বলছিলেন, ওদের সদস্য সংখ্যা ১০ হয়ে গেল। এ দিনের বৈঠকে সেই ১০ জনকে দেখা গেল না তো। শীলার তৃণমূলে যাওয়ার বাসনা পূরণ হবে না। নাটক সবে শুরু হল। শেষ হতে এখনও অনেক বাকি।’’

ঝালদা পুরসভার ইতিহাস বলছে, গত বোর্ডে দু’বার অনাস্থায় পুরপ্রধান বদল হয়েছে। চলতি বোর্ডে অনাস্থায় একবার বদল হয়েছে। আবার কি নতুন কোনও ইঙ্গিত মিলছে? জল্পনা উড়িয়ে জেলা তৃণমূল সভাপতি সৌমেন বেলথরিয়া বলেছেন, ‘‘ঝালদার পুরপ্রধানের দায়িত্ব কে সামলাবেন, তা পরে দলীয় স্তরে আলোচনা করে ঠিক করা হবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement