ফাইল ছবি
তিনি না থাকলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী হতে পারতেন না। এমন দাবিই করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বিধানসভায় বিরোধী দলনেতাকে নিশানা করে সোমবার মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সরকারে থাকার সময়েও করে খেয়েছে, বিরোধী দলে গিয়েও করে খাচ্ছে! শুভেন্দু অবশ্য বিধানসভার ভিতরে কিছু বলেননি। বাইরে মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে তিনি মন্তব্য করায় তৃণমূল কংগ্রেস পাল্টা মনে করিয়ে দিয়েছে, মমতার হাত মাথায় ছিল বলেই শুভেন্দু নেতা হতে পেরেছেন!
নন্দীগ্রামে বিধানসভা ভোটের ময়দান থেকেই মমতা-শুভেন্দু দ্বৈরথের শুরু। তার রেশ এসে পড়েছে বিধানসভাতেও। শিক্ষায় নিয়োগ-দুর্নীতির প্রসঙ্গে বিরোধী দলনেতার নাম না করেও শুভেন্দুর নিজের জেলা এবং তৃণমূলে থাকাকালীন তিনি যে সব জেলায় সাংগঠনিক দায়িত্বে ছিলেন, সেখানে কী ভাবে চাকরি হয়েছে, বিধানসভায় এ দিন সেই প্রসঙ্গ তোলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর বক্তৃতার মাঝেই ওয়াক-আউট করেন বিজেপি বিধায়কেরা। পরে বাইরে শুভেন্দুর পাল্টা মন্তব্য, ‘‘উনি তো মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন আমি ছিলাম বলে! সিঙ্গুর থেকে ফেরত পাঠিয়ে দিয়েছিল। নন্দীগ্রামে মানুষের আন্দোলন চলছিল। উনি পরে গিয়ে নন্দীগ্রাম ধরলেন। সেখান থেকে আবার সিঙ্গুর শুরু হল।’’
শুভেন্দু অবশ্য ব্যাখ্যা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন, নন্দীগ্রাম আন্দোলনের ‘কৃতিত্ব’ কারও একার নয়। তাঁর কথায়, ‘‘আমি কৃতিত্ব নিতে চাই না। মানুষের আন্দোলনের আমিও এক জন অংশীদার।’’
শুভেন্দুর দাবির প্রেক্ষিতে তৃণমূল নেতা তাপস রায়ের বক্তব্য, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত মাথার উপরে ছিল বলেই উনি নেতা হয়েছেন। বিজেপিতে গিয়ে উনি যে কদর পেয়েছেন, সেটাও ওই কারণেই। অকৃতজ্ঞতার কোনও জবাব হয় না!’’