রবিবার মুম্বই থেকে বিমানে অন্ডাল বিমানবন্দরে নামেন শত্রুঘ্ন। তাঁকে স্বাগত জানাতে হাজির ছিলেন মমতা মন্ত্রিসভার অন্যতম সদস্য মলয় ঘটক, শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, জেলা সভাপতি বিধান উপাধ্যায় প্রমুখ। পাশাপাশি শত্রুঘ্নকে দেখতে বিমানবন্দরে হাজির ছিলেন বহু সাধারণ মানুষ।
অন্ডাল বিমানবন্দরে শত্রুঘ্ন সিন্হাকে স্বাগত জানাচ্ছেন তৃণমূল নেতারা। নিজস্ব চিত্র।
১২ এপ্রিল উপনির্বাচন। তার আগে আসানসোল পৌঁছে গেলেন তৃণমূল প্রার্থী শত্রুঘ্ন সিন্হা। রবিবার সন্ধেয় অন্ডালের কাজী নজরুল ইসলাম বিমানবন্দরে নামেন শত্রুঘ্ন। তাঁকে স্বাগত জানাতে সেখানে হাজির ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটক, সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ। সেখানে ভিড় জমান বহু সাধারণ মানুষ। বিমানবন্দর থেকে শত্রুঘ্নকে আসানসোলের একটি হোটেলে নিয়ে যাওয়া হয়। সোমবার মনোনয়ন জমা দেবেন শত্রুঘ্ন, তার পর শুরু হবে প্রচার। শোনা যাচ্ছে, বাবার হয়ে প্রচার করতে আসানসোলে আসতে পারেন কন্যা সোনাক্ষীও।
বিমানবন্দরে নেমে শত্রুঘ্ন বলেন, ‘‘মমতাজি আমাকে এখানে আমন্ত্রণ করে এনেছেন। আমি জানি, আসানসোলের মানুষের জয় হবে। কারণ দেশে ন্যায় প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে মমতাজির লড়াই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমি আসানসোলের মানুষের সঙ্গে থাকতে এসেছি।’’
তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর আসানসোলের বিজেপি সাংসদ পদ ছেড়ে দেন বাবুল সুপ্রিয়। ফলে আসানসোলে উপনির্বাচন করতে হচ্ছে নির্বাচন কমিশনকে। সেই ভোটে লড়াই করার জন্য শত্রুঘ্নকে প্রার্থী হিসেবে বেছে নেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঘটনাচক্রে, যে বাবুলের ইস্তফায় আসানসোলে উপভোট, সেই বাবুল সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যুতে খালি হওয়া বালিগ়ঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী। দুই জায়গাতেই ভোট ১২ এপ্রিল।
আসানসোলে তৃণমূলের শত্রুঘ্নের বিরুদ্ধে বিজেপি অগ্নিমিত্রা পালকে দাঁড় করিয়েছে। এই কেন্দ্রে সিপিএম প্রার্থী পার্থ মুখোপাধ্যায়। কংগ্রেস এখনও প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেনি।