‘মিশনারিজ অব চ্যারিটি’ কে নিয়ে তৃণমূল-বিজেপি তরজা ছবি সংগৃহীত।
‘মিশনারিজ অব চ্যারিটি’র বিবৃতিও বিরাম টানতে পারল না ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বন্ধের অভিযোগ ঘিরে রাজনৈতিক চাপানউতোরের। এ বার তৃণমূলের রাজ্যসভা সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন অভিযোগ তুললেন, মাদার টেরিজা প্রতিষ্ঠিত সংস্থার বিদেশি অনুদান নেওয়ার পথ বন্ধ করতে চাইছে কেন্দ্র। অন্য দিকে, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী মাদার হাউসের বিবৃতিকে হাতিয়ার করে তৃণমূল এবং রাজ্যের বিরুদ্ধে মিথ্যা খবর প্রকাশের অভিযোগ তুলেছেন।
ডেরেক শনিবার কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানাতে গিয়ে একটি বিদেশি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর তুলে ধরেছেন। ‘ভারত সরকার মাদার টেরিজার দাতব্য প্রতিষ্ঠানের বিদেশি অনুদান পাওয়ার পথে বাধা সৃষ্টি করছে’ শিরোনামের ওই প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে তৃণমূল নেতা লিখেছেন, ‘সত্যকে তুমি লুকোতে পারবে না।’
অন্য দিকে, শুভেন্দু সোমবার রাতে মিশনারিজ অব চ্যারিটির লিখিত বিবৃতিটি টুইটারে পোস্ট করে লেখেন, ‘ভুয়ো খবর ছড়িয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রীয় সরকার এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উস্কে দিতে চাইছেন। যখন এমন পদে আসীন কোনও ব্যক্তি এমন কাজ করেন, তখন কারণটি ভুল তথ্য নয়, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে অপপ্রচারের প্রচেষ্টা। কিন্তু সত্য সব সময়ই জয়ী হয় এবং তার পক্ষ অবলম্বনকারীর পাশে থাকে।’
সোমবার দুপুরে মিশনারিজ অব চ্যারিটি-র ‘খবর’ সামনে আসার প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই বিস্ময় প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি টুইটারে লেখেন, ‘বড়দিনের উৎসবের মধ্যে মাদার টেরিজার মিশনারিজ অব চ্যারিটির সব ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট কেন্দ্রীয় সরকার বন্ধ করে দিয়েছে শুনে আমি বিস্মিত।’ পাশাপাশি তিনি লেখেন, ‘‘মিশনারিজ অব চ্যারিটির ২২ হাজার রোগী এবং কর্মীরা খাবার এবং ওষুধ পাচ্ছেন না। আইন সবার উপরে হলেও মানবিক কাজকর্ম বন্ধ হয়ে যাওয়া ঠিক নয়।’
এর পর সন্ধ্যায় মাদার হাউসের তরফে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করার খবর খারিজ করে জানানো হয়, মিশনারিজ অব চ্যারিটি’র কোনও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করেনি কেন্দ্র। বরং, সংস্থার পক্ষ থেকেই সব শাখাকে বিদেশি মুদ্রা সংক্রান্ত লেনদেন বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। তবে এটা ঠিক যে, বিদেশি মুদ্রা লেনদেন সংক্রান্ত যে কেন্দ্রীয় ছাড়পত্র প্রয়োজন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। গত ২৫ ডিসেম্বর সেই ছাড়পত্রের পুনর্নবিকরণ স্থগিত রেখেছে সরকার। আর সে কারণেই আপাতত কোনও রকম বিদেশি মুদ্রার লেনদেন না করার সিদ্ধান্ত সংস্থার তরফে নেওয়া হয়েছে।