প্রতীকী ছবি।
বিধানসভা ভোটের আগে জমি বুঝতে আগামী আড়াই মাসে দলকে সব বুথে ঘোরানোর কর্মসূচি নিল তৃণমূল। করোনা পরিস্থিতিতে সভা-সমাবেশ বন্ধ থাকলেও এ বার সাংগঠনিক কাজকর্ম শুরু করতে জেলা স্তরে বার্তা পাঠানো শুরু হয়েছে। কোথায়, কী অবস্থা হয়ে আছে, তা নিয়ে পূর্ণাঙ্গ ধারণা চাইছেন দলীয় নেতৃত্ব।
দলীয় সূত্রের খবর, প্রস্তুতির এই পর্বের সঙ্গেই বিধানসভা আসনে প্রার্থী বাছাইয়ের প্রাথমিক কাজও শুরু করে দেওয়া হবে। এ বারের ভোটে বেশ কিছু আসনে নতুন মুখ আনার আলোচনা শুরু হয়েছে আগেই। বয়স ও নিষ্ক্রিয়তার কারণে কিছু জায়গা চিহ্নিত করার কাজও এই সময়ে চূড়ান্ত করে ফেলতে চান দলীয় নেতৃত্ব।
করোনা ও অন্যান্য কারণে রাজ্য জুড়ে পুরসভা ভোট বকেয়া রয়েছে। এখনও যে পরিস্থিতি, তাতে ঠিক কবে কলকাতা-সহ গোটা রাজ্যের ঝুলে থাকা ভোট করানো সম্ভব হবে, তা নিশ্চিত করে বলতে পারছে না শাসক শিবিরের নেতারা। পুরভোট হলে জনমতের একটা আভাস পেত তৃণমূল। এখন আগামী বছরের নির্ধারিত বিধানসভা ভোটের জন্যই সাংগঠনিক প্রস্তুতি শুরু করতে বলা হয়েছে। তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কথায়, ‘‘করোনা ও আমপান-এর দুর্যোগে রাজ্য সরকার পূর্ণ শক্তিতে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। সে কথা বলতে আমরা ফের মানুষের কাছে যাব।’’
করোনা এবং আমপান-এর ত্রাণ নিয়ে দুর্নীতির যে অভিযোগ উঠেছে, তার চেহারাও বুথ-ফেরত রিপোর্টে বুঝতে চান তৃণমূল নেতৃত্ব। দলীয় নেতৃত্বের ধারণা, তৃণমূল সরকারের কাজের বদলে বিধানসভা ভোটের কেন্দ্রীয় বিষয় হিসেবে উঠে আসবে করোনা ও আমপান-পরবর্তী পরিস্থিতি। বিরোধী দলগুলির কর্মসূচি সেই ইঙ্গিত করছে বলেও সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত নেতারা জেলা নেতৃত্বকে সতর্ক করছেন। তা স্বীকার করেই তৃণমূলের এক রাজ্য নেতা বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রীর নামে ছাপানো চিঠি নিয়ে বিজেপির নেতারা বাড়ি বাড়ি যাওয়ার কর্মসূচি নিয়েছেন। মানুষ যাতে বিভ্রান্ত না হন, তা নিশ্চিত করতে আমাদের বুথে সক্রিয়তা বাড়াতে হবে।’’