বুধবার রাতে এই দৃশ্য দেখা গেল শিলিগুড়িতে। নিজস্ব চিত্র
চিতাবাঘের পরে হাতি।
শিলিগুড়ি শহরের একাংশে মাঝরাতে ঘুরে বেড়াল তিনটি হাতি। বন দফতর সূত্রে খবর, বুধবার রাত আড়াইটে নাগাদ শহর লাগোয়া বৈকুন্ঠপুরের জঙ্গল থেকে তিনটি হাতি বানেশ্বর মোড় হয়ে ৩৭, ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডে ঢুকে ঘুরতে থাকে। বন দফতর ও পুলিশ খবর পেয়ে সেখানে যায়। বিভিন্ন রাস্তায় বাঁশের ব্যারিকেড ভাঙা এবং এক জনের বাড়ির কলাগাছ, কাঁঠাল খাওয়া ছাড়া সেগুলি কোনও ক্ষতি করেনি। ভোরে বনকর্মীরা তাদের জঙ্গলে ফেরত পাঠান। এর আগেও শিলিগুড়ি শহরে তিন বার হাতি ঢুকেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রাতে কুকুরের ডাক এবং পরে হাতির ডাকে এলাকার অনেকে জেগে যান। বাড়ির সামনে রাস্তায় হাতি দেখে অনেকে হতবাক হয়ে যান। খবর যায় বন দফতর এবং আশিঘর ফাঁড়িতে। রাতভর পুলিশকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে বনকর্মীরা তিনটি হাতির পিছনে ঘোরেন। বনকর্মীরা জানান, বৈকুন্ঠপুরের জঙ্গল থেকে বার হলে বানেশ্বর মোড় হলে আশিঘর মোড়ে আসে হাতিগুলি। তার পরে তিলকসাধু মোড় হয়ে সুকান্তনগর অটো স্ট্যান্ড, সংহতি মোড় হয়ে শান্তিমোড় লাগোয়া বিবেকানন্দ স্কুলের দিকে যায়। পরে পিছনে ফিরে মধ্য চয়নপাড়া, ভবেশ মোড়, নরেশ মোড় দিয়ে গিয়ে ফারাবাড়ি হয়ে জঙ্গলে ঢোকে।
বন দফতরের বৈকুন্ঠপুর ডিভিশনের আধিকারিক উমারানি এন বলেন, ‘‘ভোরেই হাতিগুলিকে জঙ্গলে ফেরানো গিয়েছে।’’
বন দফতর সূত্রে খবর, তিনটি হাতির মধ্যে একটি মাকনা এবং একটি শাবক ছিল। জঙ্গলের ভাষায় এদের ‘মাঞ্জুরিয়ান’ দল বলা হয়ে থাকে। মূল দলে ২০-৫০টি হাতি একসঙ্গে থাকে। ‘মাঞ্জুরিয়ান’ হলে কয়েকটি সেখান থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ৩-৪টি করে আলাদা ছোট দল তৈরি করে। তারা দিনভর খুব বেশি ঘোরাফেরা, নতুন নতুন এলাকায় ঢোকা পছন্দ করে। খাবারের খোঁজ থেকে অনেক বেশি জঙ্গল, নদী, পাহাড় বা বনবস্তি এলাকায় ঘুরতে চায়।