বোমার আঘাতে টলটলির এই ঘরেই ছিন্নভিন্ন হন তিনজন। নিজস্ব চিত্র
তড়িঘড়ি বোমা সরাতে গিয়ে শেষরক্ষা হল না। বদ্ধ ঘরে বিস্ফোরণে মৃত্যু হল ৩ জনের। সোমবার সন্ধেয় এই ঘটনা ঘটেছে জলঙ্গি থানার টলটলিতে। ঘটনার জেরে উৎসবের মরসুমেও থমথম করছে গোটা এলাকা।
এদিনের ঘটনায় মৃত পিন্টু মন্ডল নাবালক। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়েছে নান্টু মোল্লা (৩৮) ও ছবি শেখের (৩৮)। টলটলিতে খেয়াঘাটের দখল নিয়ে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নতুন নয়। গত ১২ অক্টোবর দুই পক্ষের মধ্যে বোমাবাজির ঘটনাও ঘটেছিল। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের মতে, সোমবার পাল্টা বদলা নেওয়ার জন্যেই এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে। তবে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, কোনও হামলা নয়, নিজেদের মজুত করা বোমা একজায়গা থেকেই অন্য জায়গায় সরাতে গিয়েই এই ঘটনা ঘটিয়েছে ওই দুষ্কৃতীরা।
এলাকার বাসিন্দাদের অনেকে আবার মনে করছেন, টলটলির ওই পরিত্যক্ত ঘরে বোমা আগে থেকেই মজুত করা ছিল। মৃত তিনজন ওই পরিত্যক্ত ঘরে জড়ো হয়েছিল। বোমা নাড়াচাড়া করতে গিয়ে তা ফেঁটে তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনার খবর পেয়েই জলঙ্গী থানার বিশাল বাহিনী যায় মৃতদেহ উদ্ধার করতে। মৃতদেহ তিনটি উদ্ধার করার পাশাপাশি মুকুলেশ মন্ডল নামক এক ব্যক্তিকেও গুরুতর জখম অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। পুলিশের তৎপরতায় তাঁকে তড়িঘড়ি স্থানীয় সরকারি হাসপাতালে পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন: ওজনদার প্রার্থী, হেভিওয়েট ‘সেনাপতি’? সভাপতির খাসতালুকেই বিজেপি-কে চেপে ধরার ভাবনায় তৃণমূল
মৃত নান্টু মোল্লার স্ত্রী খুনের অভিযোগ আনছেন। তাঁর দাবি গোষ্ঠীবিবাদের জেরেই তাঁর স্বামীকে সরানো হল। তিনি এদিন বলেন, ‘‘গণ্ডোগোলের জেরে আমার স্বামী বাড়িতে থাকতে পারছিল না। বাধ্য হয়ে ওই পরিত্যক্ত ঘরে আশ্রয় নিয়েছিল। বিরোধীরা জানতে পেরে ওকে বোমা মেরে খুন করেছে।’’