রাজ্যে মিড মে মিল তথা অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের ওপর নজরদারি করতে পশ্চিমবঙ্গে আসছে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিনিধিদল। গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।
এ বার মিড ডে মিল প্রকল্প ঠিক মতো চলছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে পশ্চিমবঙ্গে আসছে কেন্দ্রীয় সরকারের এক প্রতিনিধিদল। রাজ্যে তাঁদের আগমনের দিনক্ষণ এখনও ঠিক না হলেও, চলতি মাসেই সরকারি এই প্রতিনিধিদল যাবে বলেই কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক থেকে জানানো হয়েছে। রাজ্য সরকারের প্রতিনিধিরাও এই অভিযানে যৌথ ভাবে সঙ্গী হবেন বলে মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক সূত্রে খবর। অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে ছাত্রছাত্রীদের ঠিক মতো খাবার দেওয়া হচ্ছে কি না, কোন স্কুলে কী পরিকাঠামো, রাঁধুনি-সহ হেল্পারদের সঠিক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট আছে কি না, এমন ৩৩টি বিষয় খতিয়ে দেখা হবে।
কেন্দ্রীয় সরকারের এই পদক্ষেপ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী জিতেন্দ্র প্রধান বলেন, ‘‘সম্প্রতি জাতীয় স্তরের বেশ কিছু সংবাদপত্রে বাংলার মিড ডে মিল প্রকল্প নিয়ে নানান অভিযোগ প্রতিবেদন আকারে প্রকাশিত হয়েছে। তা ছাড়া বাংলার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বেশ কিছু তথ্য ভারত সরকারের নজরে এনেছিলেন। তার পরেই কেন্দ্রীয় সরকার এই প্রতিনিধিদল পাঠানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’’ রাজ্যে মিড মে মিল তথা অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের ওপর নজরদারি করতে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিনিধিদল পাঠানো নিয়ে ফের কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাত হতে পারে। কারণ, এর আগে ১০০ দিনের কাজ, আবাস যোজনা প্রকল্প খতিয়ে দেখতে রাজ্যে এসেছিল কেন্দ্রীয় দল। সে বারও কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারের মধ্যে সংঘাত হয়েছিল। কারণ, দুটি ক্ষেত্রেই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী কেন্দ্রীয় সরকারকে চিঠি দিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ করেছিলেন। মিড ডে মিলের ক্ষেত্রেও তাঁর লিখিত অভিযোগের পরেই প্রতিনিধিদল পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্রীয় সরকার।
কিন্তু এ বার মিড ডে মিলের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে যে প্রতিনিধিদল আসছে তাতে সহযোগী হতে বলা হয়েছে রাজ্য সরকারের প্রতিনিধিদেরও। যা ১০০ দিনের কাজ বা আবাস দুর্নীতির নজরদারির ক্ষেত্রে করা হয়নি। তাই এ ক্ষেত্রে সংঘাতের সম্ভাবনা খানিকটা হলেও কম বলে মনে করছেন বাংলার রাজনীতির কারবারিরা। রাজ্য সরকারের তরফে তৃণমূল মুখপাত্র তাপস রায় বলেন, ‘‘বাংলায় বিজেপি বা বিরোধী দলনেতা কারও কোনও কাজ নেই, শুধু অভিযোগ করা ছাড়া। কেন্দ্রীয় সরকারের ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে রাজ্যকে বহু বার ভাতে মারার চেষ্টা হয়েছে। কিন্তু কোনও বারই সেই উদ্যোগ সফল হয়নি। যতই নজরদারি করুক, কোনও বারই তা সফল হবে না।’’