মিড ডে মিলে সাপ থাকার অভিযোগ। — নিজস্ব চিত্র।
রান্নার সময় মিড ডে মিলে পড়েছে সাপ। আর তা খেয়ে অসুস্থ বহু শিশু। সোমবার এই অভিযোগ ঘিরে তুলকালাম কাণ্ড বাধল বীরভূমের ময়ূরেশ্বরের একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। ঘটনার জেরে প্রধান শিক্ষককে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশও। পৌঁছন প্রশাসনিক আধিকারিকরাও। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রশাসনিক আধিকারিকরা।
প্রতি দিনের মতো সোমবারও মিড ডে মিল রান্না হয়েছিল ময়ূরেশ্বরের দাসপলসা গ্রাম পঞ্চায়েতের মণ্ডলপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। দুপুরে সেই খাবার খায় স্কুলের পড়ুয়ারা। অভিভাবকদের দাবি, খাবার খাওয়ার কিছু ক্ষণের মধ্যেই অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়ে। বমি করতে থাকে বেশ কয়েক জন শিশু। খবর পেয়ে বিদ্যালয়ে যান অভিভাবকরা। তাঁদের দাবি, মিড ডে মিলের জন্য যে ডাল রান্না হয়েছিল তাতে একটি সাপ রয়েছে। আর তা খেয়েই শিশুটা অসুস্থ হয়ে পড়ে বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় স্কুলের প্রধান শিক্ষক নিমাইচন্দ্র দে-কে ঘেরাও করে রাখেন গ্রামবাসীরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ময়ূরেশ্বর থানার পুলিশ। পাশাপাশি, ২৫-৩০ জন পড়ুয়াকে নিয়ে যাওয়া হয় রামপুরহাট গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে।
অঞ্জলি কোনাই নামে এক অভিভাবকের অভিযোগ, ‘‘খাবারে সাপ ছিল। যারা খেয়েছে তারা সকলেই বমি করছে।’’ কর্ণ সরকার নামে এক স্থানীয় বাসিন্দার অভিযোগ, ‘‘স্কুলে যে চালার নীচে মিড ডে মিলের রান্না হয়, তা অপরিষ্কার। রান্না করার সময় চিতি সাপ ডালে পড়েছে। তার জন্য ২৫-৩০ জন অসুস্থ হয়ে পড়েছে। শিক্ষকরা রান্নার সময় কেউ থাকেন না। কোনও রান্না ঢাকা দেওয়া থাকে না। আমরা পুলিশকে বিষয়টি জানিয়েছি।’’
মিড ডে মিলে সাপ থাকার অভিযোগ নিয়ে ময়ূরেশ্বর ২ ব্লকের বিডিও দীপাঞ্জন জানা বলেন, ‘‘আমরা এখানে এসে দেখলাম মিড ডে মিল নিয়ে একটা সমস্যা হয়েছে। আমরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি। যতটা খবর পেয়েছি তাতে বাচ্চারা খাবার খেয়ে কেউ অসুস্থ হয়নি। এক জন বমি করেছিল। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বাকি যারা ভর্তি, তারা স্থিতিশীল অবস্থায় আছে।’’ বিষয়টি নিয়ে ৩ জনের তদন্ত কমিটি গড়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।