coronavirus

ত্রাণ শিবিরে থার্মাল স্ক্রিনিং, কোভিডে আক্রান্তদের জন্যও আলাদা ব্যবস্থা রামনগরে

ঘূর্ণিঝড়ের দাপটের মাঝেও কোভিড সতর্কতা ভুললে চলবে না। রাজ্য সরকারের ওই নির্দেশ মেনেই ত্রাণ শিবিরে থার্মাল স্ক্যানিয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

রামনগর শেষ আপডেট: ২৪ মে ২০২১ ২৩:০৩
Share:

ছবি: সংগৃহীত

ঘূর্ণিঝড়ের ইয়াসের হাত থেকে বাঁচাতে উপকূলবাসীদের ত্রাণ শিবিরে নিয়ে যাওয়ার কাজ চলছে জোরকদমে। এ ব্যাপারে উদ্যোগী হয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। বিপজ্জনক বাড়িগুলি থেকে দ্রুত এলাকাবাসীদের সরিয়ে এনে ত্রাণ শিবিরে বা অপেক্ষাকৃত সুরক্ষিত জায়গায় রাখার কাজ শুরু হয়েছে গোটা পূর্ব মেদিনীপুর জেলা জুড়ে।
ঘূর্ণিঝড়ের দাপটের মাঝেও কোভিড সতর্কতা ভুললে চলবে না। রাজ্য সরকারের ওই নির্দেশ মেনেই ত্রাণ শিবিরে থার্মাল স্ক্রিনিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রত্যেকের শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষা করেই তাঁদের জায়গা দেওয়া হচ্ছে সেখানে, জানান রামনগর ২ ব্লকের দেপাল গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান অনুপকুমার মাইতি।
করোনা আবহে লোকজনকে সরিয়ে আনার প্রক্রিয়া বেশ ধাক্কা খাচ্ছে বলেই জানিয়েছেন অনুপ। তিনি জানান, প্রতিটি ব্লক প্রশাসনের কাছে থাকা কোভিড আক্রান্তের তালিকাও সংগ্রহ করা হচ্ছে। যাঁদের কোভিড রয়েছে বা ‘সন্দেহজনক’ মনে হচ্ছে, তাঁদের অন্যত্র রাখার ব্যবস্থা হচ্ছে। তবে এতেও অনেক গ্রামবাসী ত্রাণ শিবিরে আসতে ভয় পাচ্ছেন। সে ক্ষেত্রে কেউ যদি নিজের ব্যবস্থায় আত্মীয় বা পরিচিতদের পাকা বাড়িতে বা অন্য কোনও সুরক্ষিত জায়গায় চলে যেতে চান, তাঁদের সেই সুযোগ করে দেওয়া হচ্ছে।
অনুপ জানান, ইতিমধ্যে রামনগর ২ ব্লকের প্রায় ১০ হাজার মানুষকে ত্রাণ শিবিরে আনা হয়েছে। ধাপে ধাপে মঙ্গলবার বিকেলের মধ্যে বাকিদেরও নিরাপদ জায়গায় পৌঁছে দেওয়া হবে। ক্যাম্পে আসা লোকেদের জন্য চিঁড়ে, মুড়ি-সহ শুকনো খাবার দেওয়া হচ্ছে। দুপুরে ও রাত্রে রান্না করা ভাত, তরকারি দেওয়া হচ্ছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement