এ বছর সিপিএমের ব্রিগেড সমাবেশে অধীর চৌধুরী ও আব্বাস সিদ্দিকী। নিজস্ব চিত্র।
আব্বাস সিদ্দিকীর ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের সঙ্গে নাকি তাঁদের জোটই হয়নি। এমনটাই দাবি করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। শনিবার প্রদেশ কংগ্রেস কার্যালয় বিধান ভবনে বসেছিল বিধানসভা ভোটে হারের কারণ পর্যালোচনার বৈঠক। বৈঠকের মধ্যেই সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের মুখোমুখি হন কংগ্রেসের লোকসভার দলনেতা। কংগ্রেসের সঙ্গে বামফ্রন্ট ও আইএসএফের জোট প্রসঙ্গে প্রশ্ন করতেই জবাব দেন তিনি। অধীর বলেন, ‘‘কংগ্রেস জোট করেছিল সিপিএমের সঙ্গে। সংবাদমাধ্যমকে ব্রিগেডের সভার দিনেই আমি স্পষ্ট করে জানিয়েছিলাম। আমি আইএসএফের সঙ্গে কোনও জোট করিনি। কংগ্রেস আইএসএফের সঙ্গে জোটের কোনও আলোচনাও করেনি। আমরা বামেদের সঙ্গে জোট করে ৯২টি আসন লড়াই করার জন্য পেয়েছিলাম।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘আইএসএফ কংগ্রেসের বিরুদ্ধে প্রার্থী দিয়েছে। মুর্শিদাবাদে গিয়ে আইএসএফের নেতা গিয়ে প্রচার করে এসেছেন। তাই আইএসএফের সঙ্গে তো কোনও জোট হয়নি! যদি জোট হয়েই থাকত, তা হলে কি আইএসএফ কংগ্রেসের বিরুদ্ধে প্রার্থী দিত কি?’’
বামফ্রন্ট ও কংগ্রেসের জোটে আব্বাসের দলের উপস্থিতি যে অনেক প্রশ্ন উস্কে দিয়েছে, তাও স্পষ্ট জানিয়েছেন অধীর। তিনি বলেন, ‘‘জোট নিয়ে অনেক প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। কারণ কংগ্রেস-বামেদের জোটের মাঝে আইএসএফ প্রবেশ করেছে। আমরা জোটের যে স্বচ্ছ ভাবমূর্তি তৈরি করতে চেয়েছিলাম, সেখানে অনেক প্রশ্ন তৈরি হয়ে গিয়েছে। স্বাভাবিক ভাবেই নতুন করে জোট তৈরি করতে গেলে সেই সব প্রশ্নের সমাধান করেই আমাদের এগোতে হবে।’’
প্রসঙ্গত, সংযুক্ত মোর্চার জোট আলোচনার সময় থেকেই কংগ্রেসের সঙ্গে দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছিল আইএসএফের। এক সময় আসন রফা নিয়ে দ্বন্দ্ব চরমে উঠেছিল। ব্রিগেড সমাবেশেও অধীরের বক্তৃতার সময় আব্বাসের উপস্থিতির ফলে সৃষ্ট গোলযোগের ঘটনাও সেই সময় বিতর্ক বাড়িয়েছিল। ব্রিগেড সমাবেশে বক্তৃতার সময়ও আব্বাস তৃণমূল ও বিজেপি-র থেকে অধীরকেই বেশি আক্রমণ শানিয়ে আসন দাবি করেছিলেন কংগ্রেসের থেকে।