Adhir Ranjan Chowdhury

হাইকমান্ডকে জানাননি, তবে ব্যক্তিগত ভাবে মমতার বিরুদ্ধে প্রার্থী চান না অধীর

সম্প্রতি ভবানীপুরের বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। ওই আসনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূলের প্রার্থী হওয়া মোটামুটি পাকা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৯ জুন ২০২১ ১৮:৫৫
Share:

অধীর রঞ্জন চৌধুরী।

ভবানীপুর আসনে জেতা শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন সম্প্রতি। ওই আসন থেকে উপনির্বাচনে দাঁড়ানোর কথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধে কোনও প্রার্থী না দেওয়ার ইচ্ছের কথা সম্প্রতি জানিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। কিন্তু নিজের সেই ইচ্ছের কথা তিনি হাইকমান্ডকে জানাননি বলেই শনিবার জানালেন অধীর। বললেন, ‘‘বিষয়টি আমি এআইসিসি নেতৃত্বকে জানানইনি। আমি আমার ব্যক্তিগত মত হিসেবে বলেছিলাম, এক জন তো মুখ্যমন্ত্রী হয়েই আছেন। সেখানে যদি কংগ্রেস প্রার্থী না দেয়, তা হলেও লড়াইয়ের অন্য ক্ষেত্র তো রয়েছে। আমার এখনও একই মত।’’

Advertisement

গত ২১ মে ভবানীপুর বিধানসভার বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। তার পরেই ওই আসনে মমতার প্রার্থী হওয়ার বিষয়টি প্রায় চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে। তবে মমতার বিরুদ্ধে প্রার্থী না দেওয়ার কথা বললেও উপনির্বাচনে শান্তিপুর এবং ভোট না হওয়া সামশেরগ়ঞ্জে লড়াইয়ের ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন অধীর। প্রসঙ্গত, কংগ্রেস প্রার্থীর মৃত্যুর কারণেই ভোট বাতিল হয়ে গিয়েছিল সমশেরগঞ্জে। ভোটের আগে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় সামশেরগঞ্জের কংগ্রেস প্রার্থী রেজাউল হকের। এই আসনটি নিয়ে সংযুক্ত মোর্চার জোটে সমস্যা তৈরি হয়েছে, যা এখনও কাটেনি। ওই আসনে প্রার্থী দিয়েছে সিপিএম। প্রার্থীর মৃত্যুর পর রেজাউলের স্ত্রীকেই প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেছে কংগ্রেস। ওই আসনে সিপিএম প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন মোদাস্সর হোসেন। উপনির্বাচনে জট খুলতে ভবানীপুর ও সামশেরগ়ঞ্জ নিয়ে কংগ্রেসের সঙ্গে আলোচনা চাইছেন রাজ্য সিপিএম নেতৃত্ব। কিন্তু এ ক্ষেত্রে রাজি নন অধীর। শনিবারের সাংবাদিক বৈঠকে সেটা আবারও জানিয়ে দিয়েছেন তিনি।

অন্য দিকে, শান্তিপুরে এ বারের ভোটে সংযুক্ত মোর্চার প্রার্থী হয়েছিলেন আইনজীবী তথা কংগ্রেস নেতা ঋজু ঘোষাল। এই আসনটি জেতে বিজেপি। বিজেপি-র সাংসদ জগন্নাথ সরকার জিতেই শান্তিপুরের বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। তাই শান্তিপুরে আবারও নির্বাচন হবে। কিন্তু জোটের আলোচনায় নদিয়া জেলার এই আসনটি ছাড়তে চায়নি সিপিএম। কিন্তু অধীরের কথাতেই শান্তিপুর ছাড়তে হয় তাদের। তাই উপনির্বাচনে ফের শান্তিপুরে লড়াই করতে চেয়ে কার্যত সিপিএম নেতৃত্বকেই বার্তা পাঠিয়েছেন অধীর।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement