উপ নির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈন।—ফাইল চিত্র।
আগেও আশ্বস্ত করা হয়েছিল। কিন্তু আতঙ্ক কাটেনি। এই অবস্থায় উপ নির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈন বুধবার কলকাতায় সুস্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দিলেন, জাতীয় নাগরিক পঞ্জির (এনআরসি) সঙ্গে ইভিপি বা ভোটার তথ্য যাচাই কর্মসূচির কোনও সম্পর্ক নেই। সেই সঙ্গে তিনি জানান, ভোটার তথ্য যাচাই কর্মসূচি বাধ্যতামূলক নয়।
পার্থক্য বোঝাতে দু’টি বিষয়ের ব্যাখ্যা দেন জৈন। তিনি জানান, এনআরসি বা নাগরিক পঞ্জি দেশের নির্বাচন কমিশনের এক্তিয়ারভুক্ত কোনও বিষয় নয়। আর ভোটারদের তথ্য যাচাই কর্মসূচি একান্ত ভাবে কমিশনেরই বিষয়। ভোটদাতারা যাতে নিজেদের যাবতীয় তথ্য নিজেরাই পরীক্ষা করে নিতে পারেন, সেই জন্যই এই কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। যদিও এই তথ্য যাচাইয়ের ব্যাপারটা মোটেই আবশ্যিক নয়। তবে তথ্য যাচাই করে নিলে আখেরে ভোটারদেরই সুবিধা হবে বলে মন্তব্য করেন উপ নির্বাচন কমিশনার।
কী রকম সুবিধা? জৈন জানান, ভোটার তালিকায় অনেক ভোটারেরই নামের উল্টোপাল্টা বানান আছে। ঠিকানার ভুলভ্রান্তি-সহ নানা ধরনের অসঙ্গতি আছে। তথ্য যাচাইয়ের কর্মসূচিতে নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ভোটারেরাই সেই সব ভুলভ্রান্তি-অসঙ্গতি ঠিক করে নিতে পারবেন। ভোটার তালিকা সংশোধনে এ ভাবেই সরাসরি অংশ গ্রহণ করতে পারছেন তাঁরা। ওয়েবসাইটের জটিলতায় সমস্যা হচ্ছে বলে অভিযোগ। তা আরও সহজ করার জন্য সিইও দফতর থেকে অনেক ভাল ‘সাজেশন’ পাওয়া গিয়েছে বলে জানান নির্বাচনকর্তা।