যোগীও নাম বদলেছে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার। অভিযোগ জানাতে পারে পঞ্চায়েত দফতর। নিজস্ব চিত্র
আবাস যোজনার নাম বদলেছেন যোগী! সরকারি প্রকল্পের নামবদল নিয়ে বিজেপি-র অভিযোগ খণ্ডাতে এ বার নতুন অস্ত্রে শান দিচ্ছে রাজ্য পঞ্চায়েত দফতর। গত কয়েক বছর ধরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় সরকারি প্রকল্পের নাম বদলের অভিযোগ এনেছেন বিজেপি নেতারা। এ বার তারই পাল্টা জবাব দিতে চলেছে পঞ্চায়েত দফতর। সম্প্রতি পঞ্চায়েত দফতরের হাতে এমন কিছু তথ্য প্রমাণ এসেছে, যাতে দেখা যাচ্ছে উত্তরপ্রদেশের যোগী আদিত্যনাথের সরকার প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনাকে ‘মুখ্যমন্ত্রী আবাস যোজনা’র নামে বদলেদিয়ে কাজ করছে।
প্রমাণ হিসেবে বেশকিছু ছবিও জোগাড় করেছে দফতর। যেখানে দেখা যাচ্ছে উত্তরপ্রদেশের অযোধ্যায় একটি গ্রাম পঞ্চায়েতের গৃহ নির্মাণ প্রকল্পের নামে লেখা হয়েছে ‘মুখ্যমন্ত্রী আবাস যোজনা’। দফতরের হাতে এই বিষয়ে তথ্য প্রমাণের বিষয়টি পঞ্চায়েতমন্ত্রী পুলক রায়ের নজরে আনা হয়েছে। তিনি নির্দেশ দিয়েছেন, এ বিষয়ে আরও কিছু তথ্য জোগাড় করতে। তারপরেই বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রী দফতরের হাতে তুলে দিতে চান মন্ত্রী। পাশাপাশি তাঁরা যোগী সরকারের প্রকল্পের নাম বদল নিয়ে প্রশ্নের মুখে ফেলতে চান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সরকারকেও।
প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্প নাম বদলে পশ্চিমবঙ্গে ‘বাংলার আবাস যোজনা’ বলে চালানো হচ্ছে বলে শনিবারই প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখে জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তারপরেই রাজ্য সরকারের তরফে পাল্টা অভিযোগের যুক্তি সাজিয়ে আক্রমণের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। বৃহস্পতিবারই মুখ্যমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখে ১০০ দিনের কাজে বরাদ্দ অর্থ আটকে রাখার অভিযোগ জানান। তারপরেই বিজেপি-র তরফে অভিযোগ করা হয়, প্রকল্পের নাম বদল করে চালানো হলে, কেন্দ্রীয় সরকার কেন অর্থ দেবে?
পাল্টা রাজ্যের এক মন্ত্রীর অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রী আগেই বলেছেন, বাংলার মানুষের যাতে প্রকল্পের নাম বুঝতে সুবিধা হয়। তাদের সুবিধার্থেই বাংলার মানুষের সহায়ক নাম দেওয়া হয়েছে। আর এখন আবাস যোজনা প্রকল্প থেকে শুরু করে সব প্রকল্পেই এখন কেন্দ্রের সঙ্গে রাজ্যকেও অর্থ দিতে হয়। তাই রাজ্যের সহায়ক নাম থাকলে বিজেপি নেতাদের অসুবিধা কোথায়?
জবাবে এক বিজেপি বিধায়ক বলেন, ‘‘শুধু প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্প নয়। বিরোধী দলনেতা কেন্দ্রকে জানিয়েছেন, কেন্দ্রের ‘জলজীবন মিশন’কে বাংলায় ‘জলস্বপ্ন’ বলে চালানো হচ্ছে। আরও বেশকিছু বিষয় রয়েছে, যেখানে কেন্দ্রকে উপেক্ষা করেই বাংলার সরকার নিজের মন মতো পথে চলছে। তাই যোগীজির সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করলেই হবে না। তার সপক্ষে প্রমাণও দিতে হবে। আমাদের হাতে তো রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে গুচ্ছ গুচ্ছ প্রমাণ রয়েছে।’’