প্রতীকী ছবি।
সিলেক্ট কমিটিতে পাঠানোর বিরোধীদের দাবি উপেক্ষা করেই বিধানসভায় মঙ্গলবার পাশ হয়ে গেল ‘দ্য ওয়েস্ট বেঙ্গল লিফট্স, এসকালেটরস অ্যান্ড ট্র্যাভেলেটরস বিল, ২০১৯’। যার উদ্দেশ্য— মানুষের নিরাপত্তার স্বার্থে রাজ্যের সব লিফ্ট, এসকালেটর এবং ট্র্যাভেলেটরগুলিকে আইনের শাসনে বাঁধা। যদিও বিরোধী কংগ্রেস এবং বামেদের প্রশ্ন রয়ে গেল, যে সব জায়গাকে ওই আইনে ছাড় দেওয়া হয়েছে, সেই সব জায়গায় লিফ্ট, এসকালেটর এবং ট্র্যাভেলেটরে মানুষের নিরাপত্তার দায়িত্ব কে নেবে?
বিধানসভায় এ দিন লিফ্ট এবং এসকালেটর সংক্রান্ত ১৯৫৫ সালের আইন বাতিল করে নতুন বিল পাশ করা হয়। সেখানে বলা হয়েছে, ট্র্যাভেলেটর-সহ নয়া প্রযুক্তিকে আইনের আওতায় আনতে নতুন বিল আনা হয়েছে। কিন্তু বিলের আওতা থেকে বাদ রাখা হয়েছে বৈধ খনি, কারখানা, কেন্দ্রীয় সরকারের বাড়ি এবং রাজ্য সরকারের পূর্ত দফতরের অধীনে থাকা ভবনগুলিকে। এ ছাড়া, সরকার চাইলে যে কোনও বাড়ি বা এলিভেটরকে ওই বিলের বাইরে রাখতে পারে।
বিল নিয়ে আলোচনায় কংগ্রেস বিধায়ক সুখবিলাস বর্মা ওই ছাড় নিয়েই প্রশ্ন তোলেন, ‘‘কেন্দ্র বা রাজ্য সরকারের পূর্ত দফতরের ভবনকে ছাড় দেওয়ার যুক্তি দেখছি না। পূর্ত দফতরের লিফ্টেই তো গাফিলতি বেশি হয়!’’ সিপিএম বিধায়ক মানস মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘রাজ্য সরকার চাইলেই যে কোনও বাড়ি বা এলিভেটরকে ছাড় দিতে পারবে? ক্ষমতার এত কেন্দ্রীভবন কেন? কোন কোন বিষয়ের উপর দাঁড়িয়ে রাজ্য সরকার ছাড় দিতে পারবে, সেটা স্পষ্ট করা হোক।’’ তাঁর আরও কটাক্ষ, ‘‘নব্য বড়লোকেরা নিজেদের রাজপ্রাসাদোপম বাড়িতে এসকালেটর লাগাচ্ছেন। হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটের বাড়িতে আধুনিক জীবন কাটাচ্ছেন। তা ভাল। কিন্তু এই সম্পত্তির উৎস কী?’’ বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তী বিলটি সিলেক্ট কমিটিতে পাঠানোর জন্য সংশোধনী দেন। তা সমর্থন করেন কংগ্রেসের সুখবিলাসবাবুও। কিন্তু শাসক দল তা গ্রহণ করেনি।
মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় জবাবি ভাষণে বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় সরকারের ভবনগুলির জন্য কেন্দ্রের আলাদা আইন আছে। সেখানে রাজ্যের আইন খাটে না। আর পূর্ত দফতরের নিজস্ব বিদ্যুৎ বিষয়ক শাখা আছে। প্রয়োজনে সেটাকে মজবুত করতে হবে।’’