Transport

Transport: সীমান্তবর্তী জেলার সাতটি ট্রাক টার্মিনালের দায়িত্ব নিল পরিবহণ দফতর

সম্প্রতি নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামের প্রশাসনিক বৈঠক থেকেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছিলেন ৭ ফেব্রুয়ারির মধ্যে এই ট্রাক টার্মিনালগুলি পরিবহণ দফতরকে হস্তান্তর করতে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১৯:৫৫
Share:

সীমান্তের সাত ট্রাক টার্মিনালের দায়িত্ব নিল পরিবহণ দফতর। ফাইল চিত্র।

সীমান্তবর্তী জেলাগুলির সাতটি বৃহৎ ট্রাক টার্মিনালের দায়িত্ব নিজের হাতে নিল রাজ্য পরিবহণ দফতর। চলতি সপ্তাহের গোড়াতেই এই নির্দেশ কার্যকর হয়েছে। সম্প্রতি নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামের প্রশাসনিক বৈঠক থেকেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছিলেন ৭ ফেব্রুয়ারির মধ্যে এই ট্রাক টার্মিনালগুলি পরিবহণ দফতরকে হস্তান্তর করতে। নতুন সিদ্ধান্ত কার্যকর করার পর এ বার থেকে সব ট্রাক টার্মিনালে সমান ভাড়া নেওয়া হবে।

Advertisement

নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তিন হাজার কেজি পর্যন্ত ওজনের গাড়ির ২৪ ঘণ্টায় পার্কিং ফি বাবদ দিতে হবে ১৫০ টাকা।‌ তার পরে প্রতি ঘণ্টায় ১০ টাকা করে নেওয়া হবে। গাড়ির ওজন যদি তিন হাজার থেকে সাড়ে সাত হাজার কেজির মধ্যে হয়, তাহলে ২৪ ঘণ্টার ভাড়া গুনতে হবে ২০০ টাকা। পরবর্তী প্রতি ঘণ্টার জন্য দিতে হবে ২০ টাকা। সাড়ে সাত হাজার কেজি থেকে সাড়ে ১৬ হাজার কেজি ওজনের গাড়ির ফি ৩০০ টাকা প্রতি ২৪ ঘণ্টায়। এবং তার পরবর্তী প্রতি ঘণ্টার জন্য দিতে হবে ৩০ টাকা করে। সাড়ে ১৬ হাজার ৫০০ কেজি থেকে ৩৫ হাজার ২০০ কেজি ওজনের গাড়ির পার্কিং ফি ৩৫০ টাকা দিতে হবে ২৪ ঘণ্টার জন্য। এবং তার পরবর্তী প্রতি ঘণ্টার জন্য দিতে হবে ৪০ টাকা করে।

Advertisement

একই রকম ভাবে ৩৫ হাজার ২০০ কেজির অধিক হলে ২৪ ঘণ্টার ফি ৪০০ টাকা। এবং তার পরে প্রতি ঘণ্টায় ৫০ টাকা করে। এত দিন এই পার্কিং জোনগুলির দায়িত্বে ছিল স্থানীয় পুরসভা কিংবা পঞ্চায়েত। এ বার তাদের হাত থেকে সরাসরি রাজ্য সরকারের হাতে গেল এই টার্মিনালগুলি। কারণ প্রসঙ্গে পরিবহণ দফতরের এক কর্তা বলেন, ‘‘এর ফলে ট্রাক টার্মিনালগুলির পরিকাঠামো যেমন উন্নত করা যাবে, তেমনই সীমান্ত দিয়ে অবৈধ কিছু পাচার হয়ে যাচ্ছে কিনা, তা-ও পরিবহণ দফতরের নজরে আসবে।’’

উল্লেখ্য, গত বছর অক্টোবর মাসেই বিএসএফের সীমানা বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। তার পরেই পশ্চিমবঙ্গ সরকারের এমন পদক্ষেপ যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। তবে পরিবহণ দফতরের আরও এক আধিকারিক জানিয়েছেন, এই সাতটি ট্রাক টার্মিনাল পরিবহণ দফতরের হাতে আসার পর সরকারের আয় বাড়বে। সঙ্গে বিষয়টিতে যাতে স্বচ্ছতা আনা যায়, সেই কারণে ই-লেনদেনের ব্যবস্থাও হস্তান্তরের প্রথম দিন থেকেই করা হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement