ফাইল চিত্র।
সরকারি স্কুলগুলিতে গরমের ছুটি কমাতে শিক্ষামন্ত্রীর কাছে আবেদন জানাল শিক্ষকদের সংগঠন। শুক্রবার শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর কাছে ইমেল মারফত এই আবেদনপত্রটি পাঠিয়েছে বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতি। আবেদনপত্রে বলা হয়েছে, ‘দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা শুরু হয়ে গিয়েছে। ফলে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলির পরিবেশ আগের থেকে অনেকটাই মনোরম। এমতাবস্থায় স্কুলে গরমের ছুটি দীর্ঘায়িত করার প্রয়োজন নেই বলেই শিক্ষক সংগঠন মনে করছে। আর কালবিলম্ব না করে এটাই ঠিক সময় স্কুলের দরজাগুলি খুলে দ্রুত পঠনপাঠন শুরু করার।’ ওই আবেদনপত্রে বলা হয়েছে, ‘আগামী ২০ জুন থেকে সরকারি স্কুলগুলি খুলে দেওয়া হোক রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নের কথা মাথায় রেখে।’ আগামী ২৬ জুন পর্যন্ত স্কুলে গরমের ছুটি ঘোষণা করেছে শিক্ষা দফতর। এ বিষয়ে ১৩ জুন বিজ্ঞপ্তি জারি করে স্কুল শিক্ষা দফতর। আগে ১৫ জুন পর্যন্ত গরমের ছুটির সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছিল। এ বছর অত্যধিক গরমে এগিয়ে আনা হয়েছিল গ্রীষ্মের ছুটি। তবে শিক্ষা দফতরের একটি সূত্র জানাচ্ছে, আপাতত গরমের ছুটি কমানোর কোনও পরিকল্পনা নেই।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে ২ মে থেকে সরকারি স্কুলে গরমের ছুটি শুরু হয়ে গিয়েছিল। সেই ছুটি আরও দীর্ঘায়িত হলে পঠনপাঠনে প্রভাব পড়তে পারে বলেই মনে করছে শিক্ষক সংগঠনগুলি। বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির সাধারণ সম্পাদক স্বপন মণ্ডল বলেন, ‘‘করোনাকালে এমনিতেই দীর্ঘ দিন স্কুল বন্ধ ছিল। তারপর গ্রীষ্মের ছুটি এগোনোয় বিভিন্ন মহলে এই সিদ্ধান্ত সমালোচিত হয়েছিল। তাই আমরা শিক্ষামন্ত্রীর কাছে আবেদন জানিয়েছি, ২০ জুন থেকেই যেন স্কুলগুলি খুলে দেওয়া হয়। কারণ শুক্রবার ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির পরীক্ষার সূচি ঘোষণা করে দিয়েছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। সঙ্গে জানিয়েছে, গোটা সিলেবাস জুড়েই পরীক্ষা নেওয়া হবে। যদি এ ভাবে ছুটি দীর্ঘায়িত হতে থাকে, তা হলে ছাত্রছাত্রীরা সিলেবাস শেষ করবে কী ভাবে?’’
শিক্ষা দফতর সূত্রে খবর, গত রবিবার উত্তর ২৪ পরগনার পানিহাটিতে দণ্ড মহোৎসবে প্রচণ্ড গরমে প্রাণহানি এবং অনেকের অসুস্থ হয়ে পড়ার ঘটনার পরে মুখ্যমন্ত্রী পড়ুয়াদের সুরক্ষার বিষয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু করেন। তাঁর মনে হয়েছে, এমন ভয়াবহ গরম চলতে থাকলে পড়ুয়ারা খুবই অসুবিধায় পড়বে। তার পরেই তিনি শিক্ষামন্ত্রীকে ব্যবস্থা নিতে বলেন। আলোচনার পর ছুটি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছিল শিক্ষা দফতর।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।