ইস্কন মন্দির ফাইল ছবি
পুরোপুরি বদ্ধ হচ্ছে না তারাপীঠ ও মায়াপুরের ইস্কন মন্দির। তবে দর্শনার্থীদের মন্দিরে প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করা হবে। দু’টি মন্দিরের ক্ষেত্রেই একসঙ্গে পঞ্চাশজনের বেশি দর্শনার্থীদের প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছে প্রশাসন। ৫ জানুয়ারি থেকে তারাপীঠে হোটেল বুকিং বন্ধ করে দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন।
মঙ্গলবার দুপুরে জেলা প্রশাসন তারাপীঠ সেবাইত সঙ্ঘ ও তারাপীঠ হোটেল ব্যবসায়ীদের নিয়ে এক জরুরি বৈঠকে বসে । তারাপীঠ-রামপুরহাট উন্নয়ন পর্ষদের সভাকক্ষে এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রামপুরহাটের মহকুমা শাসক নাভেদ শামিম, রামপুরহাট মহকুমা পুলিশ আধিকারিক সয়ান আহমেদ, তারাপীঠ-রামপুরহাট উন্নয়ন পর্ষদের ভাইস-চেয়ারম্যান সুকুমার মুখোপাধ্যায় এবং তারাপীঠ সেবাইত সঙ্ঘ ও হোটেল মালিক সংগঠনের সদস্যরা। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, ৫ তারিখ থেকে সমস্ত হোটেল বুকিং বন্ধ হবে এবং মন্দিরে ৫০ জন করে পুণ্যার্থী একবারে প্রবেশ করতে পারবেন।
মন্দিরের সেবায়েত কমিটির সভাপতি তারাময় মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘মন্দিরে নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখতে ৫০জন করে প্রবেশ করানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে হোটেল বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়ে আমরা পুনর্বিবেচনার কথা বলেছি। কারণ মন্দিরে অনেক দূরদূরান্ত থেকে পুণ্যর্থীরা আসেন। হোটেল বন্ধ হয়ে গেলে তাঁরা থাকবেন কোথায়? তা ছাড়া হোটেলে ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত অনেকে আছেন। হোটেল বন্ধ হলে তাঁরা কোথায় যাবেন?’’
ইস্কনের পক্ষে থেকেও জানানো হয়েছে, মন্দির খোলা থাকলেও একসঙ্গে ৫০ জন করে মন্দিরে প্রবেশ করা যাবে। দশর্নার্থীদের অবশ্যই মাস্ক ও স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে হবে। মন্দিরের বাইরে বা ভিতরে কোনও জমায়েত করা যাবে না। ইস্কনের জনসংযোগ আধিকারিক রসিক গৌরাঙ্গ দাস মহারাজ জানিয়েছে, ‘‘যত দিন না কোভিড পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে, তত দিন দর্শনার্থীদের কোভিড বিধি মেনেই মন্দিরে প্রবেশ করতে হবে।