গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।
স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড-সহ তিনটি পরিষেবা জনগণের মধ্যে পৌঁছে দিতে শিবির করার সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। সোমবার নবান্নে মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর নেতৃত্বে এক বৈঠক হয়। সেই বৈঠকে যোগদান করেছিলেন উচ্চশিক্ষা, ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প ও মুখ্যমন্ত্রীর দফতরের দায়িত্বপ্রাপ্ত সচিব-সহ উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে হওয়া এই বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, আগামী ২ নভেম্বর থেকে ১০ নভেম্বর পর্যন্ত জেলায় জেলায় শিবিরের আয়োজন করে পশ্চিমবঙ্গ ভবিষ্যৎ ক্রেডিট কার্ড, পশ্চিমবঙ্গ স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড বিতরণ ও পরিযায়ী শ্রমিকদের নাম নথিভুক্ত করা হবে।
কালীপুজো, দীপাবলি ও ভাইফোঁটার আগে এই কর্মসূচি সফল করতে বেশকিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছে নবান্ন। শিবির শুরুর আগে জেলাশাসকদের কাছে জমে থাকা ক্রেডিট কার্ড সংক্রান্ত আবেদন ব্যাঙ্কে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রক্রিয়াগত কারণে যে সব আবেদনপত্র এখনও জমা পড়ে রয়েছে তাও এ বারের শিবিরেই নিষ্পত্তি করতে হবে। জেলাশাসকদের এই শিবির সংক্রান্ত বিষয়ে ভাল করে প্রচার করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যাতে এই শিবির থেকে ছাত্রছাত্রী ও পরিযায়ী শ্রমিকরা যাবতীয় সুযোগসুবিধা নিতে পারেন। স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড প্রকল্পটি ঠিক কী অবস্থায় রয়েছে, তাও শিবির চলাকালীনই আধিকারিকদের দেখতে বলা হয়েছে।
পরিযায়ী শ্রমিকদের সরকারি খাতায় নথিভুক্ত করানোর পাশাপাশি, যে সব পরিযায়ী শ্রমিক ও তাঁদের পরিবার রাজ্য ছেড়ে চলে গিয়েছেন তাঁদের তথ্যও ১-১০ নভেম্বরের মধ্যে সংগ্রহ করতে বলা হয়েছে। ১-৬ নভেম্বর বাড়ি বাড়ি গিয়ে এই তথ্য সংগ্রহের কাজ করা হবে। জেলাভিত্তিক এই কাজের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে জেলাশাসকদের। আর কলকাতা শহরের ক্ষেত্রে পুর কমিশনারকে এই কাজ করতে হবে। শেষ ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচিতে রাজ্যে ১৪ লক্ষ ২৫ হাজার পরিযায়ী শ্রমিক সরকারি খাতায় নিজেদের নাম নথিভুক্ত করিয়েছেন।