Sovandeb Chattapadhyay

উত্তরবঙ্গের জন্য পৃথক কৃষি নীতি তৈরি করছে রাজ্য সরকার

সম্প্রতি উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়ে সেখানকার চাষাবাদের পরিস্থিতি, পদ্ধতি ও ব্যবস্থাপনা পর্যবেক্ষণ করে এসেছেন কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৯ জানুয়ারি ২০২২ ১১:৩১
Share:

উত্তরবঙ্গের জন্য পৃথক কৃষি নীতি তৈরি করছে রাজ্য সরকার।

উত্তরবঙ্গের জন্য পৃথক কৃষি নীতি তৈরি করছে রাজ্য কৃষি দফতর। উত্তরবঙ্গের সঙ্গে দক্ষিণবঙ্গের পরিবেশ ও আবহাওয়ার পার্থক্য রয়েছে যথেষ্ট। দুই বঙ্গের কৃষি ব্যবস্থার পরিস্থিতিও ভিন্ন বলেই মনে করছেন রাজ্য কৃষি দফতরের কর্তারা। তাই আবহাওয়া, ভৌগোলিক অবস্থা, চাষের জমি বিচার করেই নতুন এই ক‌ষি নীতি তৈরি করা হতে পারে বলেই সূত্রের খবর। এই কাজে কৃষি বিষয়ক গবেষকদের পরামর্শ নেবে রাজ্য সরকার। কৃষি দফতর সূত্রে খবর, উত্তরবঙ্গের জন্য পৃথক কৃষি নীতি তৈরি করে তা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে পেশ করা হবে। তিনি তা চূড়ান্ত অনুমোদন দিলেই সে বিষয়ে পদক্ষেপ করা হবে দফতরের তরফে।

Advertisement

সম্প্রতি উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়ে সেখানকার চাষাবাদের পরিস্থিতি, পদ্ধতি ও ব্যবস্থাপনা পর্যবেক্ষণ করে এসেছেন কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। সেখানকার জল, মাটি, আবহাওয়া ও পরিবেশে কী ভাবে চাষের অগ্রগতি সম্ভব, তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন তিনি। পাশাপাশি, সেই পরিবেশ কাজে লাগিয়ে নতুন কী কী ধরনের চাষ হতে পারে, সেই বিষয়ে বিস্তারিত ভাবে দফতরের কর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন তিনি। পাশাপাশি আলিপুরদুয়ারের ডুয়ার্স, দার্জিলিং পাহাড়েও কৃষির অবস্থা প্রসঙ্গে অবগত হয়েছেন মন্ত্রী। পাহাড়ি পরিবেশে চা ছাড়া আর কী ধরনের চাষ সম্ভব, তা নিয়ে বিশেষ ভাবে আলোচনা হয়েছে উত্তরবঙ্গের কৃষি আধিকারিকদের সঙ্গে। সেই আলোচনায় বেশ কিছু নতুন ফসল চাষের প্রস্তাবও উঠে এসেছে। তবে নতুন প্রস্তাব নিয়ে এখনই মুখ খুলতে নারাজ কৃষি দফতরের কর্তারা।

তবে কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব বলেন, "আমরা বিভিন্ন জায়গা ঘুরে এবং বৈঠক করে বুঝেছি, গোটা রাজ্যের মতো পাহাড় ও ডুয়ার্সের কৃষি নীতি এক হওয়া উচিত নয়। দক্ষিণবঙ্গের সমতলের সঙ্গে উত্তরবঙ্গের ওই অংশের চাষ-আবাদের অনেক তারতম্য রয়েছে। পাহাড়ে ধসের ফলে চাষের ব্যাপক ক্ষতি হয়। সব চাষ সেখানে হয়ও না। একই রকম অবস্থা ডুয়ার্সেও। তাই আমরা পাহাড়ের জন্য আলাদা কৃষি নীতি তৈরি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।" সঙ্গে তিনি আরও বলেন, "মূলত পাহাড়ি এলাকার কৃষিকাজ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে এই নীতি তৈরি করতে যথেষ্ট সময় ব‌্যয় করতে হবে। কারণ, বিষয়গুলো সঠিক ভাবে না দেখে সিদ্ধান্ত নিলে তা কার্যকর করতে অসুবিধা হবে। তাই একটু সময় নিয়ে আমরা বিষয়টি রূপায়িত করতে চাই।" সে জন্য কৃষি গবেষকদের সঙ্গে আলোচনা করে ওই নীতি তৈরি করবে কৃষি দফতর।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement