এ ক্ষেত্রে ২০২৩ সালের ৩১ মার্চের মধ্যে রাজ্যের পুর এলাকায় আরও এক লক্ষ গরিব মানুষের মাথায় ছাদ তৈরি করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ফাইল চিত্র
আগামী দু’বছরের মধ্যে রাজ্যে গৃহহীনদের জন্য ৫০ লক্ষ বাড়ি তৈরি করে দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা স্পর্শ করতে চাইছে রাজ্য সরকার। সূত্রের খবর, পঞ্চায়েত এলাকার জন্য ‘বাংলার আবাস যোজনা’ এবং শহুরে এলাকার জন্য ‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্পের আওতায় এই বাড়িগুলি তৈরি হবে। প্রকৃত গরিব মানুষই যাতে সুযোগ পান, সেই জন্য উপভোক্তাদের তালিকা খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে পঞ্চায়েত, পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরকে। মূলত এই দুই দফতর বাড়ি নির্মাণের দায়িত্বে থাকবে। সম্প্রতি এই কাজের পর্যালোচনার জন্য নবান্নে এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হয়। সেই বৈঠকের পর এই লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। বাড়ির জন্য খরচ দেওয়া হবে তিন লক্ষ ৬৮ হাজার টাকা। যার মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকার দেবে দেড় লক্ষ টাকা। রাজ্য সরকার দেবে এক লক্ষ ৯৩ হাজার টাকা। যা অন্যান্য সব রাজ্যের তুলনায় বেশি। উপভোক্তাকে দিতে হবে ২৫ হাজার টাকা।
সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ১০ বছরে এই দু’টি প্রকল্পের আওতায় ৪৫ লক্ষ ৮৭ হাজার ৭১৭টি বাড়ি তৈরি করা হয়েছে। এই সংখ্যা আগামী দু’বছরের মধ্যে ৫০ লক্ষে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্য রাজ্যের। প্রকল্প দু’টিতে স্বচ্ছতা বজায় রাখার জন্য পঞ্চায়েত এবং পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরকে নবান্ন থেকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যে ‘বাংলার আবাস যোজনা’ প্রকল্পে গ্রামীণ এলাকায় ৪৪ লক্ষ ২৫ হাজার ৭১৭টি বাড়ি তৈরি করেছে পঞ্চায়েত দফতর। যার মধ্যে বর্তমান আর্থিক বর্ষে এখনও পর্যন্ত তৈরি হয়েছে সাত লক্ষ ৬১ হাজার ৩২৪টি বাড়ি। আর পুর দফতরের ক্ষেত্রে লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। এ ক্ষেত্রে ২০২৩ সালের ৩১ মার্চের মধ্যে রাজ্যের পুর এলাকায় আরও এক লক্ষ গরিব মানুষের মাথায় ছাদ তৈরি করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।