—প্রতীকী ছবি।
এ বার রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়কে কর্মসমিতির বৈঠক না করার নির্দেশ দিল উচ্চ শিক্ষা দফতর। ২৯ এপ্রিল, সোমবার এই বৈঠক হওয়ার কথা।
উচ্চ শিক্ষা দফতরের লিখিত নির্দেশ অনুযায়ী, বৈঠকের বিষয়সূচিতে ছাত্র স্বার্থ সংক্রান্ত জরুরি কোনও বিষয় নেই। উল্টে এমন কিছু বিষয় আছে, যা আইন বিরোধী এবং উচ্চ শিক্ষা দফতরের সাম্প্রতিক নির্দেশ বিরোধী।
ওই চিঠিতে জানানো হয়েছে, লোকসভা নির্বাচন নিয়ে আদর্শ আচরণবিধি জারি হয়েছে। তবে তার সঙ্গে কর্মসমিতির বৈঠকের কী সম্পর্ক তার ব্যাখ্যা নেই ওই লিখিত নির্দেশে। উচ্চ শিক্ষা দফতরের যুক্তি, এই বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থায়ী উপাচার্য এখন নেই। তাই দফতরের অনুমতি ছাড়া এই বৈঠক করা বিধিসম্মত নয়। এর আগে যাদবপুর ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়কেও এই বৈঠক করতে বারণ করেছিল উচ্চ শিক্ষা দফতর। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় অবশ্য দফতরের নির্দেশ না মেনেই একাধিক সিন্ডিকেট বৈঠক করেছে।
রবীন্দ্রভারতীর দায়িত্বপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার আশিস সামন্ত শুক্রবার জানিয়েছেন, অন্তর্বর্তী উপাচার্যের নির্দেশ মতো এর জবাব উচ্চ শিক্ষা দফতরকে জানানো হবে। রবীন্দ্রভারতীর শিক্ষক সমিতির সম্পাদক দেবব্রত দাসের দাবি, চার বছরের স্নাতক কোর্সের জন্য অ্যাকাডেমিক ক্যালেন্ডার তৈরি, আসন্ন নাক ভিজ়িট, দীর্ঘদিন আটকে থাকা শিক্ষকদের প্রাপ্য প্রমোশন, জরুরি ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি রেগুলেশন তৈরির মতো ছাত্রস্বার্থ জড়িত একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় রয়েছে প্রস্তাবিত এই বৈঠকে। রাজ্যের এই নির্দেশিকা তাই একেবারেই অনাকাঙ্খিত এবং অনভিপ্রেত। সরকারকে এই নির্দেশিকা প্রত্যাহারের অনুরোধও করেছেন দেবব্রতরা।