খাদ্য দফতরের সঙ্গে সঙ্ঘাতে রেশন ডিলাররা ফাইল চিত্র।
অগস্ট মাসের প্রথম চার দিন রাজ্যের রেশন দোকান বন্ধ, তা-ও আবার আন্দোলনের নামে। তাই রেশন ডিলারদের বিরুদ্ধে এ বার কড়া পদক্ষেপ করার বিষয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু করে দিল খাদ্য দফতর। মঙ্গলবার সংসদ ভবন অভিযান করেছে অল ইন্ডিয়া ফেয়ার প্রাইস অব ডিলার্স ফেডারেশন। এই কর্মসূচির জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে রাজ্যের সব রেশন দোকান। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ধর্না কর্মসূচিতে যোগ দিতে দিল্লি এসেছিলেন রেশন ডিলাররা। সেই কর্মসূচিতে যোগদানের কারণেই অগস্ট মাসের প্রথম চার দিন বন্ধ রাখা হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের সব রেশন দোকান। যদিও, চার দিন রেশন দোকান বন্ধ রাখার কথা মানতে চাননি রেশন সংগঠনের নেতারা। সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছিল, প্রতি মাসের প্রথম ও শেষ তারিখ রেশন ডিলারদের ‘নো ট্রানজাকশন ডে’ হয়। স্বাভাবিক কারণেই মাসের প্রথম ও শেষ দিন রেশন দোকান বন্ধ রাখতে হয়। সেই নিয়মে অগস্টের এক তারিখ দোকান বন্ধ ছিল। যে হেতু মঙ্গলবার ২ তারিখে তাঁদের সংসদ ভবন অভিযান কর্মসূচি ছিল, তাই ওই দিন রেশন দোকান বন্ধ রাখা হয়েছিল। আর দিল্লি থেকে ফেরার জন্য হাতে সময় রাখা হয়েছে আরও দু’দিন। তাই কোনও ভাবেই বলা যাবে না , যে, চার দিন দোকান বন্ধ রাখা হয়েছে।
রেশন ডিলারদের তরফে আরও দাবি, খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষকে চিঠি লিখে দোকান বন্ধ রাখার কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এ প্রসঙ্গে খাদ্য দফতরের প্রতিমন্ত্রী জ্যোৎস্না মাণ্ডি বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন সাধারণ মানুষকে কোনও ভাবেই কষ্ট ও দুর্ভোগে রাখা যাবে না। খাদ্য দফতরও সেই নির্দেশ মেনেই কাজ করে। কিন্তু রাজ্যের রেশন দোকানগুলি তারা চার দিন বন্ধ রাখায় সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগ হয়েছে সাধারণ মানুষের। তাই আমরা এই বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করছি।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘রেশন ডিলাররা যেমন তাদের খাদ্য দফতরকে জানিয়েছিল, তেমনই খাদ্য দফতরও রেশন ডিলারদের কাছে আবেদন করেছিল, যাতে রেশন দোকান কোনও ভাবেই বন্ধ না রাখা হয়। রাজ্যে গরিব ও সাধারণ মানুষের কথা মাথায় রেখেই সরকার রেশন ডিলারদের এ কথা জানিয়েছিল। কিন্তু সে কথাও রেশন ডিলাররা শোনেননি।’’রেশন ডিলার সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বম্ভর বসু পাল্টা বলেছেন, ‘‘আমরা কেন্দ্রীয় সরকারের খাদ্যনীতির বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে গিয়েছিলাম। সাধারণ মানুষের রেশন পেতে যে কী ধরনের সমস্যা হচ্ছে তা হয়তো খাদ্য দফতর বুঝতে পারছে না। সেই সব অসুবিধা দূর করতেই আমাদের এই আন্দোলন ছিল।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘সাধারণ মানুষ যখন রেশন দোকানে এসে নানা অসুবিধার কারণে রেশন না পান তখন খাদ্য দফতর সেই বিষয়গুলি দেখতে আসে না। আমাদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা হলে আমরাও আমাদের অবস্থান স্পষ্ট করব।’’