ফাইল চিত্র।
আগামী অগস্ট মাসের প্রথম চার দিন বন্ধ থাকবে রাজ্যের সব রেশন দোকান। এমনটাই জানিয়েছে রেশন ডিলারদের সংগঠন অল ইন্ডিয়া ফেয়ার প্রাইস অব ডিলার্স ফেডারেশন। কেন্দ্রীয় সরকারের খাদ্যনীতির বিরুদ্ধে নয় দফা দাবিতে দীর্ঘ দিন ধরে আন্দোলন করছে দেশের সব প্রান্তের রেশন ডিলাররা। সেই আন্দোলন এ বার দিল্লির সংসদ ভবনে নিয়ে যেতে চান তাঁরা। তাই ঠিক হয়েছে, চলতি বাদল অধিবেশনে সংসদ ভবন ঘেরাও করবেন দেশের রেশন ডিলাররা। এই কর্মসূচিকে রেশন ডিলাররা চার ভাগে ভাগ করে আন্দোলন করেছেন। ৪ জুলাই ব্লক স্তরে, ১১ জুলাই জেলাওয়াড়ি ও ১৮ জুলাই সোমবার রাজ্যের খাদ্য দফতরের সামনে ধরনা অবস্থান করছেন তাঁরা। এ বার পালা দিল্লির সংসদ ভবনের।আগামী ২ জুলাই সংসদ ভবন অভিযান করবে অল ইন্ডিয়া ফেয়ার প্রাইস অব ডিলার্স ফেডারেশন। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ১ জুলাই ধরনা কর্মসূচিতে যোগ দিতে দিল্লিতে পৌঁছন রেশন ডিলাররা। সেই কর্মসূচিতে যোগদানের কারণেই অগস্ট মাসের প্রথম চার দিন বন্ধ থাকবে পশ্চিমবঙ্গের সব রেশন দোকান। যদিও, চার দিন রেশন দোকান বন্ধ রাখার কথা মানতে চাননি রেশন সংগঠনের নেতারা। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বম্ভর বসু বলেন, ‘‘প্রতি মাসের এক ও শেষ তারিখ রেশন ডিলারদের জন্য ‘নো ট্রানজাকশন ডে’ হয়। স্বাভাবিক কারণেই মাসের প্রথম ও শেষ দিন রেশন দোকান বন্ধ রাখতে হয়। তাই সেই নিয়মেই অগস্টের এক তারিখে দোকান বন্ধ থাকবে।’’ এর পরেই তাঁর সংযোজন, ‘‘যেহেতু ২ তারিখে আমাদের সংসদ ভবন অভিযান কর্মসূচি রয়েছে। তাই ওই দিন রেশন দোকান বন্ধ থাকবে। আর দিল্লি থেকে ফেরার জন্য হাতে সময় রাখা হয়েছে আরও দু’দিন। তাই কোনও ভাবেই বলা যাবে না যে আমরা চার দিন দোকান বন্ধ রাখছি।’’
রেশন ডিলারদের তরফে খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষকে চিঠি লিখে দোকান বন্ধ রাখার কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। মাসের প্রথম চার দিন রেশন দোকান বন্ধ রাখার কথা জানার পরেই আগামী সপ্তাহের জরুরি ভিত্তিতে খাদ্য দফতরের একটি বৈঠক ডাকা হয়েছে বলে জানিয়েছেন খাদ্য প্রতিমন্ত্রী জোৎস্না মান্ডি। তিনি বলেছেন, ‘‘আলাপ-আলোচনা করে যাতে কোনও পথ বের করা যায়, সেই জন্য খাদ্য দফতর আগামী সপ্তাহেই বৈঠকে বসছে।’’ খাদ্য দফতর রেশন ডিলারদের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে আলোচনায় বসার কথা বললেও নিজেদের কর্মসূচিতে অটল থাকবেন বলেই জানিয়েছেন তাঁরা। রেশন ডিলার সংগঠনের সদস্য জয়ন্ত দেবনাথ বলেন, ‘‘আমরা আমাদের নয় দফা দাবির কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখেছিলাম। কিন্তু তাতেও রেশন ডিলারদের কোনও সুরাহা হয়নি। তাই বাধ্য হয়েই আমরা এই আন্দোলনে যাচ্ছি। গণতান্ত্রিক দেশে অধিকার রক্ষার লড়াইয়ে আন্দোলন করার অধিকার সবার আছে। তাই এই আন্দোলন থেকে আমরা কোনও ভাবেই সরে আসব না।’’