—ফাইল চিত্র।
অযোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে একই তালিকায় ফেলে যোগ্যদের চাকরি ছিনিয়ে নেওয়া যাবে না। এ ব্যাপারে সুপ্রিম কোর্টে যোগ্যদের আলাদা তালিকা দিতে হবে। তাঁদের জন্য সুবিচার চাইতে হবে— এমনই দাবি নিয়ে সল্টলেকের করুণাময়ীতে এসএসসির সদর দফতরের সামনে প্রতিবাদ বিক্ষোভ দেখালেন ২০১৬ সালের এসএসসির যোগ্য চাকরিহারারা। বুকে ওএমআর শিটের কপি ঝুলিয়ে করুণাময়ীর আচার্য ভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখালেন তাঁরা। কারও কারও হাতের পোস্টারে চোখে পড়ল ‘হয় চাকরি দিন, নয়তো আত্মহত্যার অধিকার দিন’ জাতীয় আর্তিও।
শুক্রবার ওই প্রতিবাদ বিক্ষোভ হয় করুণাময়ীর আচার্য সদনের সামনে। কয়েক হাজার চাকরিপ্রার্থী সেখানে জমায়েত করেন। পুলিশি বাধা উপেক্ষা করে তাঁরা ঢুকে পড়েন আচার্য সদন চত্বরে। দাবি জানান এসএসসির চেয়ারম্যানের সঙ্গে সাক্ষাতের। পরে চাকরিপ্রার্থীদের দাবি মানাও হয়। আচার্য সদনের সামনে হাজির পুলিশকর্মীরা জনা কুড়ি আন্দোলনকারীকে ভিতরে প্রবেশের অনুমতি দেন। তাঁরা ভিতরে গিয়ে কী কথা বলবেন জানতে চাওয়া হলে উপস্থিত সংবাদমাধ্যমকে আন্দোলনকারীদের প্রতিনিধিরা বলেন, ‘‘আমাদের দাবি, যাঁর ভুলের জন্য আমাদের এই অবস্থা, তাঁকে ক্ষমা চাইতে হবে। সাংবাদিক বৈঠক করে নিজের ভুল স্বীকার করতে হবে এবং সেই ভুল শোধরাতে হবে।’’ কার কথা বলতে চাইছেন প্রশ্ন করা হলে তাঁরা বলেন, এসএসসি চেয়ারম্যানের কাছ থেকে ভুল সংশোধনের আশা করছেন তাঁরা।
অন্য বিক্ষোভকারী চাকরিহারারা যুক্তি দেন, হাই কোর্ট তাঁদের ওএমআর শিটকে বৈধতা দিয়েছিল। তার পরেও তাঁদের চাকরি কেড়ে নেওয়া হল কেন?