Union Budget 2024-25

ছিটেফোঁটা বরাদ্দ, জোর শিক্ষা ঋণে

বঙ্গীয় প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আনন্দ হান্ডার মতে, ‘‘বর্তমানে প্রাথমিকে মাথাপিছু বরাদ্দ ৫.৪৫ টাকা এবং উচ্চ প্রাথমিকে মাথাপিছু বরাদ্দ ৮.১৭ টাকা। এই বরাদ্দে মিড-ডে মিল চালানো অসম্ভব।’’

Advertisement

মধুমিতা দত্ত, আর্যভট্ট খান

শেষ আপডেট: ২৪ জুলাই ২০২৪ ০৭:৩৯
Share:

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

গত বারের তুলনায় বাড়লেও ২০২২-২৩ সালের তুলনায় এ বার মিড-ডে মিলে কম বরাদ্দ ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। মঙ্গলবার বাজেটে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন জানিয়েছেন যে মিড-ডে মিল বাবদ ১২৪৬৭.৩৯ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে এই প্রকল্পে বরাদ্দ ছিল ১২৬৮০.৯৭ কোটি টাকা। ২০২৩-২৪-এ প্রথমে ১১৬০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হলেও সংশোধিত বাজেটে তা কমিয়ে ১০,০০০ কোটি করা হয়। শিক্ষকদের একাংশের প্রশ্ন, দু’বছর আগের তুলনায় জিনিসের দাম বেড়েছে। তা হলে বরাদ্দ কমানো হল কেন?

Advertisement

বঙ্গীয় প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আনন্দ হান্ডার মতে, ‘‘বর্তমানে প্রাথমিকে মাথাপিছু বরাদ্দ ৫.৪৫ টাকা এবং উচ্চ প্রাথমিকে মাথাপিছু বরাদ্দ ৮.১৭ টাকা। এই বরাদ্দে মিড-ডে মিল চালানো অসম্ভব।’’ মিড ডে মিলের নামমাত্র বরাদ্দে পড়ুয়াদের যথাযথ পুষ্টি হয় না বলে মন্তব্য করেছেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারি বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সৌগত বসু।

কেন্দ্রীয় বাজেটে শিক্ষা, কর্মসংস্থান এবং দক্ষতার জন্য ১.৪৮ লক্ষ কোটি টাকার বরাদ্দ করা হয়েছে। তার মধ্যে শিক্ষা ক্ষেত্রে বরাদ্দ ১ লক্ষ ২৫ হাজার ৬৩৮ কোটি টাকা। উচ্চশিক্ষায় দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়ার জন্য প্রতি বছর ১ লক্ষ পড়ুয়াকে ৩ শতাংশ সুদে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ দেওয়া হবে। পাঁচ বছরের মধ্যে প্রায় ২০ লক্ষ যুবক-যুবতীর দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে রাজ্য সরকার ও শিল্প ক্ষেত্রের সহযোগিতায় নতুন কেন্দ্রীয় প্রকল্প আসবে। এক কোটি পড়ুয়াকে নামজাদা সংস্থায় ইন্টার্নশিপের সুযোগ দেওয়া হবে। এক হাজার আইটিআইকে ‘আপগ্রেড’ করা হবে বলেও জানানো হয়েছে।

Advertisement

উচ্চশিক্ষায় ঋণ রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু এক্স হ্যান্ডলে লিখেছেন, ‘‘..উচ্চশিক্ষার জন্য ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ প্রকল্প মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীর প্রকল্পকে নকল করে করতে হয়েছে। তা টুকছেন, টুকুন। আমাদের আপত্তি নেই, খালি ঋণ স্বীকারটুকু করার সাহস দেখালে ভাল হত না?’’ ইউজিসি-র বরাদ্দ ৬১ শতাংশ কমানো নিয়ে তাঁর প্রতিক্রিয়া, ‘‘রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে আরও দুর্বল করার পরিকল্পনা।’’ পশ্চিমবঙ্গ কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি শুভোদয় দাশগুপ্ত বলেন, ‘‘দক্ষতা বৃদ্ধির প্রকল্পের ঘোষণা ও ই-ভাউচারের মাধ‍্যমে ঋণ আদতে সরকারি দায় ঝেড়ে ফেলার নামান্তর।’’ সারা ভারত সেভ এডুকেশন কমিটির সাধারণ সম্পাদক তরুণকান্তি নস্কর বলেন, ‘‘শিক্ষার ব্যয় বাড়বে ও ঋণ নিয়ে পড়ুয়াদের তা বহন করতে হবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement