গত ২১ ফেব্রুয়ারি পশ্চিমবঙ্গের নদী পাড়ের ভাঙন ও বন্যা নিয়ন্ত্রণ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চিঠি দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। এই চিঠির পরেই কেন্দ্রীয় জলশক্তি মন্ত্রকের চিঠি পায় নবান্ন। কেন্দ্রের তরফে নবান্নকে জানানো হয় ‘ফ্লাড ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড বর্ডার এরিয়া প্রোগ্রাম’ (এফএমবিএপি) আওতাধীন প্রকল্পগুলিতে ৬০ শতাংশ অর্থ বরাদ্দ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
নদী ভাঙন ও বন্যা রোধের প্রকল্পে ৬০ শতাংশ অর্থ দেবে কেন্দ্রীয় সরকার। প্রতীকী ছবি
রাজ্য সরকারের দাবি মেনে বন্যা ও নদী ভাঙন নিয়ে অর্থ দিতে সম্মত হল কেন্দ্রীয় সরকার। গত ২১ ফেব্রুয়ারি পশ্চিমবঙ্গের নদী পাড়ের ভাঙন ও বন্যা নিয়ন্ত্রণ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চিঠি দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। এই চিঠির পরেই কেন্দ্রীয় জলশক্তি মন্ত্রকের চিঠি পায় নবান্ন। কেন্দ্রের তরফে নবান্নকে জানানো হয় ‘ফ্লাড ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড বর্ডার এরিয়া প্রোগ্রাম’ (এফএমবিএপি) আওতাধীন প্রকল্পগুলিতে ৬০ শতাংশ অর্থ বরাদ্দ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে প্রকল্পের বাকি ৪০ শতাংশ অর্থ দিতে হবে রাজ্যকেই। সঙ্গে বলা হয়, প্রকল্পের অগ্রাধিকার অনুযায়ী তালিকা পাঠাতে বলা হয় রাজ্যকে।
সূত্রের খবর, কেন্দ্রকে লিখিতভাবে রাজ্য জানিয়েছে, ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান-সহ মোট ২,৪৭৮ কোটি টাকার চারটি প্রকল্প অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে করতে চায় রাজ্য। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে২০২১ সালের অগস্টে রাজ্যের মন্ত্রীদের একটি প্রতিনিধি দল দিল্লি গিয়েছিল। তারা জলশক্তিমন্ত্রী গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াতের সঙ্গে দেখাও করে। বৈঠক হয় নীতি আয়োগের প্রতিনিধিদের সঙ্গে। রাজ্যের দাবি ছিল, কেন্দ্র এই প্রকল্পের জন্য ৭৫ শতাংশ অর্থ দিক। বাকি ২৫ শতাংশ বহন করবে রাজ্য সরকার। এ বিষয়ে কেন্দ্র-রাজ্যের মধ্যে বহু চিঠি চালাচালি হয়েছে। অবশেষে রাজ্যের দাবি মেনে এই খাতে ৬০ শতাংশ অর্থ দিতে রাজি হয়েছে কেন্দ্রীয় জলশক্তি মন্ত্রক।
নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্য যে চারটি প্রকল্পের জন্য অর্থ বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে তার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল ১,২৩৮ কোটি টাকার ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান। ঘাটাল ছাড়া আরও তিনটি প্রকল্প হল ১০০০ কোটি টাকা টাকার আয়লা বাঁধের কাজ, কান্দি মাস্টার প্ল্যানের কাজের জন্য ৮০ কোটি টাকা। এবং কেলেঘাই-কপালেশ্বরী প্রকল্পের কিছু অংশের কাজ, যার জন্য খরচ ধরা হয়েছে ১৬০ কোটি টাকা। সঙ্গে কেলেঘাই-কপালেশ্বরী প্রকল্পের অধীন একটি ‘রাবার ড্যাম’-ও তৈরি করা হবে। যার ফলে কেলেঘাই নদী দিয়ে পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরে নোনাজল প্রবেশ আটকানো যাবে। কান্দিতে আবার বাবলা ও উত্তরাসন নদীর উপর দু’টি রেল ব্রিজের পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজ করা হবে। কাজটি একবার সম্পন্ন হলে নদীর জল বিনাবাধায় নিজের গতিপথ অনুযায়ী চলতে পারবে।