কৃষক বন্ধু প্রকল্পের ডেথ বেনিফিট খাতে ৪০০ কোটি টাকা পেল কৃষক পরিবারগুলি। প্রতীকী ছবি
‘ডেথ বেনিফিট’ খাতে গত এক বছরে মৃত কৃষকদের পরিবারকে ৪০০ কোটি টাকা দিল রাজ্য কৃষি দফতর। কৃষকদের সাহায্য করতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার কৃষকবন্ধু প্রকল্প চালু করেছে। শুধু চাষের ক্ষেত্রেই নয়, কোনও কৃষক আচমকা প্রয়াত হলে তাঁর পরিবার যেন অসহায় না হয়ে পড়ে, সেই ভাবনা থেকে কৃষকবন্ধু প্রকল্পে ‘ডেথ বেনিফিট’-এর বিষয়টিও রাখা হয়েছে।গত এক বছরে কৃষকবন্ধু প্রকল্পের ‘ডেথ বেনিফিট’ খাতে ৪০০ কোটির বেশি খরচ করেছে কৃষি দফতর। উপকৃত হয়েছে ২০ হাজারের বেশি কৃষক পরিবার।
২০১৯ সালে কৃষকবন্ধু প্রকল্পটি চালু করেছিল কৃষি দফতর। প্রকল্প চালুর পর থেকে কোনও কৃষকের মৃত্যু হলে তাঁর পরিবারকে এককালীন দু’লক্ষ টাকা করে সরকারি উদ্যোগে সহায়তা দেওয়া হয়। তবে এই টাকা পাওয়ার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কৃষক পরিবারকে কয়েকটি শর্ত পূরণ করতে হয়। প্রয়াত কৃষকের নিজের নামে জমি থাকতে হবে। মৃত্যুর সময় কৃষকের বয়স ১৮ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে হতে হবে। সাহায্য পেতে স্থানীয় বিডিও অফিস মারফত আবেদন করতে হবে পরিবারকে। তা পরীক্ষা করে দেখার পর মহকুমা স্তর থেকে কৃষক পরিবারের দায়িত্বপ্রাপ্ত কোনও ব্যক্তির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠিয়ে দেওয়া হবে।
বেশ কিছু জেলায় ‘ডেথ বেনিফিট’ পাওয়ার আবেদনে অনেক ত্রুটিপূর্ণ আবেদনও জমা পড়েছিল বলে জেনেছে রাজ্য কৃষি দফতর। এই প্রকল্প চালু হওয়ার আগে প্রয়াত বেশ কিছু কৃষক পরিবার আবেদন জমা দিয়েছিল। ব্লক স্তরে যাচাই করতে গিয়ে তা ধরা পড়ে গিয়েছে। সে সব আবেদন বাতিল করে দিয়েছেন আধিকারিকরা। তাই ডেথ বেনিফিট দেওয়ার ক্ষেত্রে যাতে কোনও ভুল না হয় সে বিষয়ে কৃষি দফতর সজাগ থাকতে বলেছে জেলার কৃষি আধিকারিকদের।
কৃষি দফতরের তথ্য অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত পূর্ব মেদিনীপুরে ২৭০০-র বেশি কিছু বেশি কৃষক পরিবার এই খাতে টাকা পেয়েছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনায়১০৩১এবং উত্তর ২৪ পরগনায় ৯০৭ পরিবারকে এই খাতে অর্থ সাহায্য করা হয়েছে। এছাড়াও মালদহ, মুর্শিদাবাদ ও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় দুই হাজারের বেশি করে পরিবার এই খাতে আর্থিক সহায়তা পেয়েছে।