রাজ্যের অঙ্গনওয়াড়ি প্রকল্পের অর্থ দিচ্ছে না কেন্দ্র। অভিযোগ রাজ্য সরকারের। প্রতীকী ছবি
১০০ দিনের কাজে কেন্দ্রীয় সরকার প্রাপ্য অর্থ দিচ্ছে না। এমনই অভিযোগে সরব হয়েছে রাজ্য সরকার। এ বার সেই সুরেই অঙ্গনওয়াড়ি প্রকল্পের টাকা আটকে রাখার অভিযোগ জানাল রাজ্য নারী ও শিশু কল্যাণ দফতর। অঙ্গনওয়াড়ি প্রকল্পে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগে সরব হয়েছেন নারী, ওই দফতরের মন্ত্রী শশী পাঁজা। সম্প্রতি বিধানসভায় তিনি দাবি করেছেন, গত দু’টি অর্থবর্ষ মিলিয়ে প্রায় ১২০০ কোটি টাকারও বেশি বকেয়া রেখেছে কেন্দ্র। শাসকদলের অভিযোগ, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের টাকা আটকে দেওয়ায় সমাজকল্যাণমূলক প্রকল্পগুলিকেই প্রশ্নের মুখে ফেলছে নরেন্দ্র মোদীর সরকার।
দফতরের তথ্য অনুযায়ী, ২০২০-২১ অর্থবর্ষে কেন্দ্রের কাছে ১৮৯৯ কোটি ৮৪ লক্ষ টাকা চাওয়া হয়েছিল। তার বদলে ১৪১৮ কোটি ৭১ লক্ষ টাকা দেওয়া হবে বলে জানানো হয়। ওই অর্থবর্ষে ৪৮১ কোটি ১৩ লক্ষ টাকা বকেয়া থেকে গিয়েছিল। ২০২১-২২ অর্থবর্ষে কেন্দ্রকে ২১০৬ কোটি ৯৩ লক্ষ টাকা দাবির কথা লিখিত ভাবে জানানো হয়েছিল। তার মধ্যে ১৩৮৬ কোটি ৯৮ লক্ষ টাকা মঞ্জুর করে কেন্দ্র। সেই অর্থবর্ষে বকেয়া থেকে যায় প্রায় ৭১৯ কোটি ৯৪ লক্ষ টাকা। দুই অর্থবর্ষে সেই বকেয়া অর্থের পরিমাণ সব মিলিয়ে ১২০০ কোটি টাকায় পৌঁছে গিয়েছে। শতাংশের বিচারে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র বাবদ এ যাবৎ প্রাপ্যের৭৮ শতাংশ অর্থই এখনও কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে বকেয়া বলেই দাবি করা হয়েছে।
মন্ত্রী শশী বলেছেন, ‘‘আগে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের ভাতার ৭৫ শতাংশ অর্থ দিত কেন্দ্র। রাজ্যকে দিতে হত ২৫ শতাংশ টাকা। পরে কেন্দ্র ও রাজ্যের প্রদেয় অর্থের অনুপাত হয় যথাক্রমে ৬০ ও ৪০ শতাংশ। কিন্তু, এখন ৭৫ শতাংশ টাকাই দিতে হচ্ছে রাজ্যকে। কিন্তু বাকিটাও কেন্দ্রের কাছ থেকে ঠিকমতো মিলছে না।’’ তাঁর আরও বক্তব্য, কেন্দ্রীয় বঞ্চনা সত্ত্বেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার আইসিডিএস কর্মীদের ভাতা থেকে শুরু করে সবটাই রাজ্যের টাকাতে চালিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।