দক্ষিণ-পূর্ব রেলের কাজের জন্য জমি দিয়েছিলেন পূর্ব মেদিনীপুরের কয়েকটি পরিবার। পরিবারগুলির দাবি, জমি নেওয়ার সময় রেল প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল পরিবারপিছু এক জন করে চাকরি দেবে। কিন্তু সেই শর্ত তারা পালন করেনি। এই পর ওই পরিবারগুলি রেলের বিরুদ্ধে সেন্ট্রাল অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনাল (ক্যাট)-এ মামলা করেন।
দক্ষিণ-পূর্ব রেলওয়ের দফতর। ফাইল চিত্র।
প্রতিশ্রুতি দিয়েও তা পালন করেনি ভারতীয় রেল। পরে আদালতের নির্দেশও অগ্রাহ্য করেছে। এমন ভূমিকায় কলকাতা হাই কোর্টে প্রশ্নের মুখে দক্ষিণ-পূর্ব রেল। বিচারপতি সৌমেন সেন এবং বিচারপতি অজয়কুমার মুখোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চের মন্তব্য, ‘‘অনেকে মনোনীত হয়েও চাকরি পাচ্ছেন না। বাধ্য হয়ে তাঁরা আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছেন। আদালত নির্দেশ দিচ্ছে। তার পর আপনাদের টনক নড়ছে! কেন এমন হয় বলুন তো?’’ আদালতের নির্দেশ, প্রতিশ্রুতি মতো রেলকে দেড় মাসের মধ্যে চাকরি দিতে হবে। আর রেলকেই রিপোর্ট দিয়ে আদালতে জানাতে হবে তারা চাকরি দিয়েছে।
দক্ষিণ-পূর্ব রেলের কাজের জন্য জমি দিয়েছিলেন পূর্ব মেদিনীপুরের কয়েকটি পরিবার। পরিবারগুলির দাবি, জমি নেওয়ার সময় রেল প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল পরিবারপিছু এক জন করে চাকরি দেবে। কিন্তু সেই শর্ত তারা পালন করেনি। এই পর ওই পরিবারগুলি রেলের বিরুদ্ধে সেন্ট্রাল অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনাল (ক্যাট)-এ মামলা করেন। ক্যাট নির্দেশ দেয়, জমিদাতাদের দাবির সত্যতা রয়েছে। তাই রেলকে শর্ত মেনে চাকরি দিতে হবে। কিন্তু সেই নির্দেশ পালন করা হয়নি এই অভিযোগ তুলে হাই কোর্টে আসেন কৃষ্ণেন্দু গারু-সহ তিন জন। দায়ের হয় আদালত অবমাননার মামলা। দক্ষিণ-পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার অর্চনা জোশীর কাছ থেকে জবাব চায় হাই কোর্ট।
শুক্রবার হাই কোর্ট হাজিরা দেন অর্চনা। তিনি জানান, শুধু ওই তিনটি পরিবার নন, ৫০০-র বেশি এমন প্রার্থী রয়েছেন, যাঁদের চাকরি দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। ফলে সব নথি খতিয়ে দেখে চাকরি দিতে প্রায় পাঁচ মাস সময় লাগবে। রেল তার প্রতিশ্রুতি পালনে সর্বদা চেষ্টা করবে। কিন্তু উচ্চ আদালত ওই সময় দিতে রাজি হয়নি। ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, এত সময় দেওয়া যাবে না। তার আগেই চাকরি দিতে হবে।