মুর্শিদাবাদের কান্দির বাসিন্দা অরিন্দম। একটি আর্থিক প্রতারণা-কাণ্ডে তিন জন অভিযুক্তের জামিনের জন্য হাই কোর্টে মামলা লড়ছেন তিনি। অভিযোগ, যে মামলার জন্য উচ্চ আদালতে আপিল করেছেন অরিন্দম, সেই মামলার যথাযথ নথি তিনি সরকারী কৌঁসুলিদের কাছে পেশ করেননি। তুলনায় কম গুরুত্বপূর্ণ অন্য একটি মামলার নথি দেওয়া হয়।
প্রতীকী ছবি।
জাল নথি ব্যবহার করে কলকাতা হাই কোর্টকে বিভ্রান্ত করার অভিযোগ উঠল এক আইনজীবীর বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত ওই আইনজীবী অরিন্দম রায়কে পাঁচ দিনের মধ্যে গ্রেফতার করে আদালতে আনার নির্দেশ দিল ডিভিশন বেঞ্চ। শুক্রবার বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি বিভাসরঞ্জন দের ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, আইনজীবীই যদি এমন জালিয়াতি করেন তবে তা বিচারব্যবস্থার ক্ষেত্রে ভয়ঙ্কর প্রবণতা। বুধবারের মধ্যে পুলিশ ওই আইনজীবীকে ধরে আনবে। এই নির্দেশ কার্যকর না হলে ব্যর্থতার দায় পড়বে পুলিশের ঘাড়ে।
মুর্শিদাবাদের কান্দির বাসিন্দা অরিন্দম। একটি আর্থিক প্রতারণা-কাণ্ডে তিন জন অভিযুক্তের জামিনের জন্য হাই কোর্টে মামলা লড়ছেন তিনি। অভিযোগ, যে মামলার জন্য উচ্চ আদালতে আপিল করেছেন অরিন্দম, সেই মামলার যথাযথ নথি তিনি সরকারী কৌঁসুলিদের কাছে পেশ করেননি। তুলনায় কম গুরুত্বপূর্ণ অন্য একটি মামলার নথি দেওয়া হয়। আর এই ঘটনা আদালতের সামনে আসতেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিচারপতিরা। ওই আইনজীবীকে হাজির করার নির্দেশ দেওয়া হয়। আগামী ১৬ মার্চ এই মামলার পরবর্তী শুনানি।
হাই কোর্ট সূত্রে খবর, এই প্রথম নয়। এর আগেও অরিন্দম জাল নথি আদালতে জমা করেছিল। সেই সময় তাঁকে বিশাল অঙ্কের টাকা জরিমানা করে হাই কোর্ট। কিন্তু তার পরও ওই আইনজীবীর বিরুদ্ধে একই অভিযোগ উঠল।