বিজয়ার শুভেচ্ছা জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর চিঠি যাচ্ছে সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষের কাছে। নিজস্ব চিত্র
ফেসবুক-হোয়াটস অ্যাপের জমানায় বিজয়ার চিঠি-সংস্কৃতি ফিরিয়ে আনলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রায় দেড় দশক আগে বিজয়া দশমীর শুভেচ্ছা জানাতে চিঠিই ছিল বাঙালির অন্যতম উপায়। কিন্তু ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, ইনস্টাগ্রামের জমানায় সেই চিঠি-সংস্কৃতি এখন বিস্মৃত ইতিহাস। বাঙালির সেই হারিয়ে যাওয়া সংস্কৃতিকে কিছুটা হলেও ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করলেন মমতা। বিজয়ার পরেই মুখ্যমন্ত্রীর নামাঙ্কিত চিঠি পাঠানো শুরু হয়েছে সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষকে। দলের মন্ত্রী-সাংসদ-বিধায়ক তো বটেই, অধ্যাপক, শিক্ষক, আইনজীবী থেকে শুরু করে স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রীদের পাঠানো হয়েছে এই শুভেচ্ছাবার্তা। নবান্ন সূত্রে খবর, দশমীর পর থেকেই মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে শুভেচ্ছাবার্তা পাঠানোর কাজ শুরু হয়েছে।
নিজের বিজয়া-বার্তায় প্রথমেই কোভিড নিয়ে রাজ্যবাসীর প্রতি কতৃজ্ঞতা জানিয়েছেন মমতা। তিনি লিখেছেন, ‘দুর্গাপুজো সম্পন্ন হল, বিশ্বব্যাপী অতিমারির মধ্যেই সচেতন দায়িত্ববোধের সঙ্গে পালিত হল আমাদের শ্রেষ্ঠ উৎসব। এই সচেতনতা ও সহযোগিতার জন্য আমরা সকলের কাছে কৃতজ্ঞ।’ সঙ্গে তিনি আরও লিখেছেন, ‘শান্তি ও সৌহার্দ্যের বাতাবরণে জগজ্জননীর আরাধনা সুষ্ঠু ও নির্বিঘ্ন ভাবে সমাধা হল, কঠিন পরিস্থিতিতে এ আমাদের সামগ্রিক গৌরব।’ দীপাবলি ও শ্যামাপূজার আনন্দে সতর্ক থাকার কথাও তাঁর বিজয়া-বার্তায় উল্লেখ করেছেন মমতা। এই বার্তায় রজ্যাবাসীকে ভাল থাকতে, সুস্থ ও আনন্দে থাকতে বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী।