Paschimbanga Day

বিধানসভায় পশ্চিমবঙ্গ দিবসের প্রস্তাব করা হতে পারে ৭ সেপ্টেম্বর, নির্ঘণ্ট ঠিক করতে বৈঠক

‘পশ্চিমবঙ্গ দিবস’ কবে, তা ঠিক করতে সম্প্রতি একটি কমিটি গঠন করা হয়। প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ তথা ইতিহাসবিদ সুগত বসুকে উপদেষ্টা করে তৈরি হয় ‘পশ্চিমবঙ্গ দিবস নির্ধারণ কমিটি’।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৯ অগস্ট ২০২৩ ২১:৪০
Share:

বিধানসভায় প্রস্তাব পাশ করেই পশ্চিমবঙ্গ দিবসকে স্বীকৃতি দিতে চান মুখ্যমন্ত্রী। ফাইল চিত্র।

বিধানসভায় পশ্চিমবঙ্গ দিবসের প্রস্তাব করা হতে পারে আগামী ৭ সেপ্টেম্বর। মঙ্গলবার নবান্নে এমনটাই বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও, প্রথমে ঠিক হয়েছিল এই প্রস্তাব আনা হতে পারে ৪ সেপ্টেম্বর বাদল অধিবেশনের শেষ দিনে। আগামী বৃহস্পতিবার বিধানসভার কার্যবিবরণী কমিটি বৈঠকে বসছে। সেখানেই আনুষ্ঠানিক ভাবে এই কর্মসূচি স্থির করা হবে বলে বিধানসভার সচিবালয় সূত্রে জানা গিয়েছে।

Advertisement

‘পশ্চিমবঙ্গ দিবস’ কবে, তা ঠিক করতে সম্প্রতি একটি কমিটি গঠন করা হয়। প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ তথা ইতিহাসবিদ সুগত বসুকে উপদেষ্টা করে তৈরি হয় ‘পশ্চিমবঙ্গ দিবস নির্ধারণ কমিটি’। আহ্বায়ক করা হয় বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়কে। গত শুক্র এবং সোমবার বিধানসভায় এই সংক্রান্ত বিষয়ে বৈঠক হয়। সোমবারের বৈঠকে ১ বৈশাখ ‘পশ্চিমবঙ্গ দিবস’ হিসেবে পালন করার সুপারিশ করে ওই কমিটি। সেই সুপারিশে চূড়ান্ত অনুমোদন দেবেন মুখ্যমন্ত্রী, তা-ও সিদ্ধান্ত হয়। আর সেই অনুমোদন পাওয়ার পরেই সর্বদল বৈঠক ডাকেন মমতা

মঙ্গলবার নবান্নে সেই বৈঠকের সমাপ্তি লগ্নে একসঙ্গে ৭ সেপ্টেম্বর প্রস্তাব আনার কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী-স্পিকার। শুক্রবার বিধানসভার অধিবেশন বসার কথা ছিল। সেই অধিবেশনও বসবে কি না, তা-ও ঠিক হবে বৃহস্পতিবার বিধানসভার বৈঠকেই। ৭ তারিখে পশ্চিমবঙ্গ দিবস নিয়ে আলোচনায় হাজির থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি সেই আলোচনায় অংশ নেবেন। আর বিরোধী বিজেপি নবান্নের বৈঠকে অংশগ্রহণ না করলেও, বিধানসভায় পশ্চিমবঙ্গ দিবসের আলোচনায় অংশ নেবেন তাঁরা। এমনটাই সূত্র মারফত জানা গিয়েছে।

Advertisement

গত ২০ জুন রাজভবনে ‘পশ্চিমবঙ্গ দিবস’ পালন করেছিলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। কিন্তু এই দিনটিকে ‘পশ্চিমবঙ্গ দিবস’ মানতে নারাজ মুখ্যমন্ত্রী। প্রথমে ফোনে অনুরোধ জানিয়ে এবং পরে চিঠি লিখে রাজ্যপালকে এই আয়োজন থেকে বিরত থাকতে অনুরোধ করেছিলেন তিনি। কিন্তু নিজের অবস্থানে অনড় থেকে রাজভবনে ‘পশ্চিমবঙ্গ দিবস’ পালন করেন আনন্দ বোস। তাই এ বার পাল্টা ‘পশ্চিমবঙ্গ দিবস’ ঘোষণার মাধ্যমে বিজেপি ও রাজভবনকে একসঙ্গে জবাব দিতে চান মুখ্যমন্ত্রী, এমনটাই মনে করছে বাংলার রাজনীতির কারবারিরা। তাঁদের যুক্তি, তাই সর্বদলীয় বৈঠক মারফত সব রাজনৈতিক দল ও সম্প্রদায়কে তাঁর এই উদ্যোগে সামিল করে কৌশলী চাল দিয়েছেন মমতা। আর সেই প্রস্তাবকে বিধানসভায় পাশ করিয়ে তাতেই সাংবিধানিক স্বীকৃতি আদায় করিয়ে নিতে চান তিনি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement