অধীর চৌধুরী-নীতিন গডকড়ী। — ফাইল চিত্র।
রাত পোহালেই মুম্বইয়ে ফের বসতে চলেছেন বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র বৈঠক। এ বারেরও শিবসেনা ও এনসিপির সঙ্গে বৈঠক আয়োজনের দায়িত্বে রয়েছে কংগ্রেস। সেই বৈঠকের প্রস্তুতির মধ্যেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর দ্বারস্থ হলেন কংগ্রেসের লোকসভার দলনেতা অধীর চৌধুরী।
লোকসভা ভোট যতই এগিয়ে আসছে, ততই সংসদীয় নিজেদের এলাকায় ভোটার ধরে রাখতে উদ্যোগী হচ্ছেন সাংসদরা। সেই আবহেই এ বার নিজের লোকসভা আসন বহরমপুর ধরে রাখতে উদ্যোগী হচ্ছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। মঙ্গলবার সকালে তিনি সাক্ষাৎ করলেন কেন্দ্রীয় পূর্ত সড়ক ও পরিবহণ মন্ত্রী নীতিন গডকড়ীর সঙ্গে। নিজের লোকসভা এলাকার বেশ কয়েকটি সমস্যার বিষয় নিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করলেন অধীর।
বৈঠক শেষে এক ভিডিয়োবার্তায় অধীর বলেন, ‘‘ভাগীরথী নদীর উপর ব্রিজ হওয়া সত্ত্বেও যে হেতু গোটা ব্রিজটির নির্মাণ সম্পন্ন হয়নি, একটি অংশ সম্পূর্ণ হয়েছে, তাই পুরোপুরি চালু করা যায়নি। মন্ত্রীর কাছে আমি দাবি করেছি, কিছু দিনের মধ্যেই রাজ্যে দুর্গাপুজো আসছে, বহরমপুর শহর ও তার সংলগ্ন এলাকায় যাতায়াতের জন্য এই ব্রিজটি চালু করে দেওয়া হোক। যাঁদের জন্য এই ব্রিজটি তৈরি করা হয়েছে, তাঁদের যাতায়াতের সুবিধা করে দেওয়া হোক।’’ পাশাপাশি আরও একটি অসম্পূর্ণ ব্রিজ রয়েছে, সেটিও যাতে দ্রুত সম্পূর্ণ করা যায়, সেই বিষয়েও আলোচনা হয়েছে অধীর-নীতিনের। মন্ত্রকের বরিষ্ঠ আধিকারিকরাও দুই জনপ্রতিনিধির বৈঠকে হাজির ছিলেন বলেও জানানো হয়েছে। ব্রিজ খুলে গেলে পুজোর দিনগুলিতে সাধারণ মানুষের সুরাহা হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন অধীর।
২০২১ সালের বিধানসভা ভোটের নিরিখে বহরমপুর লোকসভায় তৃতীয় স্থানে চলে গিয়েছে কংগ্রেস। প্রথম স্থানে শাসকদল তৃণমূল ও দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে বিজেপি। রাজ্য রাজনীতির কারবারিদের একাংশ মনে করছে, এমতাবস্থায় সাংসদ হিসেবে নিজের কাজের খতিয়ান তুলে ধরেই ফের বহরমপুরের জনতার কাছে ভোট চাইতে যাবেন অধীর। তাই মুম্বইয়ে বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র বৈঠকের আবহেই তিনি নিজের লোকসভা কেন্দ্রের জন্য মোদীর মন্ত্রীর দ্বারস্থ হলেন। পাশাপাশি, রাজ্যে কংগ্রেস-তৃণমূল জোট হলেও, বহরমপুর লোকসভার ক্ষেত্রে যে যাতে তাঁর দাবি বহাল থাকে, সে দিকেও নজর রয়েছে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির। তাই ‘ইন্ডিয়া’র বৈঠকের প্রস্তুতি চললেও, সাংসদ হিসেবে নিজের দায়িত্ব পালন করতেই মোদী মন্ত্রিসভার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্যের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বহরমপুরের মানুষের দাবি নিয়ে সরব হলেন কংগ্রেসের লোকসভার দলনেতা।