Gangasagar Mela

পুজোর আগেই শুরু হচ্ছে গঙ্গাসাগর মেলার প্রস্তুতি, তৎপরতা রাজ্য প্রশাসনে

গঙ্গাসাগর মেলায় রাজ্য সরকারের দফতরগুলির মধ্যে সবচেয়ে বড় দায়িত্ব থাকে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের। সেচ দফতর সূত্রে খবর, এ বছর নতুন করে সাগরতট তৈরির পাশাপাশি ড্রেজিংয়ের কাজও শুরু হবে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৯ অগস্ট ২০২৩ ১৩:৫৮
Share:

শনিবার গঙ্গাসাগরে মেলা প্রাঙ্গন পরিদর্শন করলেন সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক। — ফাইল চিত্র।

পুজোর আগেই শুরু হচ্ছে গঙ্গাসাগর মেলার প্রস্তুতি। ২০২৪ সালের ১২ জানুয়ারি থেকে সাগরদ্বীপে শুরু হবে গঙ্গাসাগর মেলা। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে তীর্থযাত্রীরা ওই সময় পূণ্যস্নানের জন্য সমবেত হন সাগরে। নতুন বছরের ১৫ জানুয়ারি মকর সংক্রান্তির দিন সাগরতটে পূণ্যস্নান করবেন তীর্থযাত্রীরা। কিন্তু সেই মেলার জন্য এখনও অনেকটা সময় হাতে থাকলেও এখন থেকেই প্রস্তুতির কাজ শুরু করে দিতে চায় দায়িত্বপ্রাপ্ত দফতরগুলি। গত শনিবার গঙ্গাসাগর সফরে গিয়েছিলেন সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক। সেখানে গিয়ে সেচ দফতরের শীর্ষ আধিকারিকদের নিয়ে মেলার প্রস্তুতি সংক্রান্ত যাবতীয় কাজ এখন থেকেই শুরু করতে বলেছেন।

Advertisement

মেলা প্রাঙ্গণে কোথায় কী গড়ে উঠবে, সেই নকশা আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই চূড়ান্ত করতে বলা হয়েছে। এ ছাড়াও, মাটি দিয়ে সাগরতট তৈরির কাজও শুরু করতে বলেছেন সেচমন্ত্রী। এত তাড়াতাড়ি প্রশাসনিক তৎপরতা শুরু প্রসঙ্গে জানা গিয়েছে, রাজ্য জুড়ে উৎসবের মরসুম শুরু হচ্ছে অক্টোবর মাসের শেষ মাঝামাঝি সময়ে। শারদোৎসব শেষ হতে হতে অক্টোবর মাসের শেষ সপ্তাহ হয়ে যাবে। আবার দিপাবলি উৎসব-সহ কালীপুজো ও রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে চলা উৎসব শেষ হতে হতে এ বছর নভেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহ হয়ে যাবে। তাতেই ব্যস্ত থাকবে রাজ্য প্রশাসন। সে কারণে গঙ্গাসাগর মেলার মতো বড় আয়োজনের জন্য বিশেষ সময় পাওয়া যাবে না। তাই অগস্ট মাসের শেষ সপ্তাহ থেকেই মেলা আয়োজনের কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে।

গঙ্গাসাগর মেলার রাজ্য সরকারের দফতরগুলির মধ্যে সবচেয়ে বড় দায়িত্ব থাকে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের। সেই দফতরের মন্ত্রী পুলক রায় বলেন, ‘‘প্রতি বছরই আমরা বিশেষ দায়িত্ব নিয়ে গঙ্গাসাগর মেলার আয়োজনের কাজ করি। এ বার অনেক আগে থেকেই আমাদের প্রস্ততির কাজ শুরু করতে হচ্ছে। যে হেতু অনেক আগে থেকে এই উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে, তাই বাড়তি নজরদারি রাখতে হচ্ছে, যাতে আয়োজনে কোনও খামতি না থেকে যায়।’’

Advertisement

সেচ দফতর সূত্রে খবর, এ বছর নতুন করে সাগরতট তৈরির পাশাপাশি ড্রেজিংয়ের কাজ শুরু হবে। মেলার সময় মু়ড়িগঙ্গা পারাপার হতে গিয়ে তীর্থযাত্রীরা যাতে কোনও সমস্যার সম্মুখীন না হন, সে দিকেও বিশেষ ভাবে নজর দিতে বলা হচ্ছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement