রাজ্যের স্কুলগুলি বন্ধ রাখার আবেদন জানানো হল শিক্ষক সংগঠনের তরফে। —ফাইল চিত্র।
গরমে একেবারে নাজেহাল অবস্থা বঙ্গবাসীর। বৈশাখের শুরু থেকেই সকাল থেকে চাঁদিফাটা গরম এবং অস্বস্তিকর পরিবেশে কাবু হয়ে পড়েছে সারা রাজ্য। এমন পরিস্থিতিতে রাজ্যের স্কুলগুলি বন্ধ রাখার আবেদন জানানো হল শিক্ষক সংগঠনের তরফে। মঙ্গলবার বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির পক্ষ থেকে এই আদেবন জানানো হয়েছে।
আগামী কয়েক দিনের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় তাপপ্রবাহ চলবে। শিক্ষক সংগঠনের তরফে এই মেল পাঠানো হয়েছে শিক্ষামন্ত্রীর কাছে। যেখানে আবহাওয়ার পূর্বাভাসের পাশাপাশি, দাবদাহে রাজ্যে মানুষের মৃত্যুর কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, ২২ এপ্রিল পর্যন্ত আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী, দাবদাহ কমার সম্ভাবনা নেই। তাই শিক্ষা দফতর বিবেচনা করে আগামী ২২ তারিখ পর্যন্ত স্কুল বন্ধ রাখার নির্দেশ দিলে ভাল হয়। উল্লেখ্য, মঙ্গলবার বনগাঁ-মাঝেরহাট লোকালে গরমে অসুস্থ হয়ে পড়েন এক মহিলা। তাঁকে সহযাত্রীরা বামনগাছি স্টেশনে নামিয়ে দিলে সেখানেই মারা যান তিনি। দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুর থানার রাঘবপুর পূর্বপাড়ার বাসিন্দা সেখ সাকিলা বিবি (৬২) অটোয় বসে সানস্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। আবার পুরুলিয়া বাসস্ট্যান্ডের কাছে দুপুরে অসুস্থ হয়ে মৃত্যু হয় অলোকচন্দ্র কর্মকারের (৫২)। বাড়ি কাশীপুরের মানিহারা গ্রামে। মঙ্গলবার রাজ্যে বিভিন্ন প্রান্তে ঘটে যাওয়া এই সব মৃত্যুর কথাও তুলে ধরা হয়েছে আবেদনে।
শিক্ষক সংগঠনের তরফে স্বপন মণ্ডল বলেন, ‘‘গরমের কারণে নাজেহাল অবস্থা সকলের। এই গরমে স্কুল করতে যেমন অসুবিধা হচ্ছে ছাত্রছাত্রীদের, তেমনই অসুবিধায় পড়ছেন স্কুলের শিক্ষক থেকে শুরু করে শিক্ষাকর্মীরা।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘গত সোমবার কলকাতা এক স্কুলে বছর ৪০-এর এক শিক্ষক গরমে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। ওই দিন রাতেই তিনি স্ট্রোকে মারা গিয়েছেন। আমরা তাই এই বিষয়টি শিক্ষামন্ত্রীকে সহানুভূতির সঙ্গে বিবেচনা করতে অনুরোধ করেছি।’’