Thermal Gun

Thermal Gun: বাড়ছে স্কুলছুট! থার্মাল গান হাতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে স্কুলে ভর্তির কাজ শুরু শিক্ষকদের

অভিভাবকদের মধ্যে দেবদাস মণ্ডল বলেন, “বাড়িতে এসে শিক্ষকেরা সন্তানকে স্কুলে ভর্তি করালেন। এটা আমরা ভাবতেই পারিনি।

Advertisement

সেবাব্রত মুখোপাধ্যায়

বেলডাঙা শেষ আপডেট: ০২ জানুয়ারি ২০২২ ০৬:০১
Share:

প্রতীকী ছবি

প্রাথমিকে ক্লাস দীর্ঘ দিন বন্ধ। ফলে পঠন পাঠন হচ্ছে না। অনলাইনে পড়াশোনা করার ক্ষমতা মুর্শিদাবাদের প্রত্যন্ত এলাকা কেন, শহরাঞ্চলেও অনেকের নেই। তার জেরে স্কুলছুট বাড়ছে বলে কিছু স্কুলের শিক্ষকেরা মনে করছেন। অনেক পরিবার অর্থ সঙ্কটে পড়েছে। সেই পরিস্থিতি থেকে রক্ষা পেতে অন্য এলাকার মতো এ বার বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রাথমিক স্কুলে ভর্তি শুরু করলেন বেলডাঙার স্কুলের শিক্ষকেরাও। কর্মসূচির নাম ‘দুয়ারে শিশু ভর্তিকরণ’।

Advertisement

বেলডাঙার ৩০ নম্বর আণ্ডিরণ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা সেই কাজ শুরু করেছেন। সম্প্রতি তাঁরা আণ্ডিরণ গ্রামের বিভিন্ন প্রান্তে গিয়ে প্রাক-প্রাথমিক থেকে চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত ভর্তির ব্যবস্থা করেন। স্কুলের শিক্ষকেরা জানিয়েছেন, তাঁদের উদ্যোগে ১৫ জন পড়ুয়া ভর্তি হয়েছে প্রথম দিনেই। পরের দিন ৭ জন নতুন ছাত্রছাত্রী ভর্তি হয়েছে। বেলা ১১টার পরে কোভিড বিধি মেনে বাড়ি বাড়ি ঘোরেন শিক্ষকেরা। করোনা কালে পরিস্থিতি বুঝে স্বাস্থ্য সচেতনতা বাড়াতেও উদ্যোগী হয়েছেন তাঁরা। এই স্কুলের শিক্ষকেরা থার্মাল গান নিয়ে বাড়ি বাড়ি সাধারণ মানুষের শরীরের তাপমাত্রা মাপেন। যাঁরা মাস্ক ব্যবহার করছেন না, তাঁদের জন্য মাস্ক নিয়ে গিয়েছিলেন।

স্কুলের প্রধান শিক্ষক বিশ্বজিৎ দত্ত বলেন, “১৫ ডিসেম্বর থেকে ২৮ ডিসেম্বর অভিভাবকেরা স্কুলে এসে প্রাক-প্রাথমিক থেকে প্রথম শ্রেণি পর্যন্ত ৩০ জনকে ভর্তি করিয়েছেন। তার পরে আমরা বাড়ি বাড়ি ঘুরে প্রথম দিনেই নতুন ১৫ জন ছাত্রকে ভর্তি করাতে পেরেছি। জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে বই দেওয়া হবে ছাত্রছাত্রীদের হাতে। যারা উপস্থিত থাকতে পারবে না, তাদের আবার বাড়ি বাড়ি গিয়ে বই, গাছের চারা দিয়ে আসা হবে।”

Advertisement

স্কুল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, স্কুলের যে ভ্রাম্যমাণ গ্রন্থাগার ছিল সেই গাড়ি পাঠ্যপুস্তক নিয়ে দুয়ারে দুয়ারে গিয়ে বই দেবে। কোভিড বিধি মেনে এলাকায় গিয়ে পাঠ্যবই বিতরণ করা হবে। প্রধান শিক্ষক বলেন, “আমাদের বিদ্যালয়ে ২০১৮ সালে ১২৭ জন ছাত্রছাত্রী ছিল। সেটা ২০১৯ সালে ১৪৬, ২০২০ সালে ১৭৭ হয়েছিল। এ বার সেই সংখ্যা ২০০ করার চেষ্টা করছি।”

অভিভাবকদের মধ্যে দেবদাস মণ্ডল বলেন, “বাড়িতে এসে শিক্ষকেরা সন্তানকে স্কুলে ভর্তি করালেন। এটা আমরা ভাবতেই পারিনি। খুব ভাল লেগেছে। বাড়ি এসে বই দেওয়ার কথাও তাঁরা বলেছেন।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement