Tapas Mandal

বেআইনি ভাবে নিয়োগ! প্রাথমিকের চাকরি খুইয়েছেন মানিক-ঘনিষ্ঠ তাপসের ভ্রাতৃবধূও

মাইশোরার হরেকৃষ্ণপুর গ্রামের তাপস নব্বইয়ের দশকে কলকাতায় কোচিং সেন্টার খোলেন। তখন থেকেই বাড়িছাড়া। বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া তিনি গ্রামের বাড়িতে বিশেষ আসতেনও না।

Advertisement

দিগন্ত মান্না

পাঁশকুড়া শেষ আপডেট: ১৬ অক্টোবর ২০২২ ০৬:১৮
Share:

মানিক ভট্টাচার্য ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডল ফাইল ছবি

মানিক ভট্টাচার্য ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডলের মহিষবাথানের কোচিং সেন্টারে শনিবার হানা দেয় ইডি। বর্তমানে বারাসতের বাসিন্দা তাপসের আদি বাড়ি পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ার মাইশোরায়। ওই বাড়িতেই থাকেন তাপসের ভাই বিভাস মণ্ডল ও তাঁর পরিবার। বিভাসের স্ত্রী পারমিতা কয়েক মাস আগেই হাই কোর্টের নির্দেশে প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি খুইয়েছেন। বেআইনি ভাবে তিনি ওই চাকরি পেয়েছিলেন বলে অভিযোগ।

Advertisement

মাইশোরার হরেকৃষ্ণপুর গ্রামের তাপস নব্বইয়ের দশকে কলকাতায় কোচিং সেন্টার খোলেন। তখন থেকেই বাড়িছাড়া। বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া তিনি গ্রামের বাড়িতে বিশেষ আসতেনও না। শেষ এসেছিলেন গত বছর। তবে স্থানীয়েরা জানাচ্ছেন, প্রতারণার অভিযোগে বাম আমলেও একবার গ্রেফতার হন তাপস। ২০১১ সালে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পরে তাঁর ব্যবসা বাড়ে। নিউটাউনে টিচার্স ট্রেনিং সেন্টারের পাশাপাশি, মুর্শিদাবাদেও তাপসের পলিটেকনিক কলেজ রয়েছে বলে খবর। তাপসের ছেলেও ২০১৯ সালে হাইস্কুলে শিক্ষকের চাকরি পেয়েছিলেন।

আদি বাড়ির কাছেই সম্প্রতি ভাই বিভাসের পেল্লায় বাড়ি তৈরি হচ্ছে। মাইশোরার পাতন্দা গ্রামে পারমিতার নামে টিচার্স ট্রেনিং কলেজও রয়েছে। জানা গিয়েছে, কলেজটির সভাপতি বিভাসের শ্বশুর প্রভাকর জানা। ওই কলেজ ভবনেও তাপসের কোচিং সেন্টারের বিজ্ঞাপনের সাইনবোর্ড ছিল। তবে রাতারাতি সেটা খুলে নেওয়া হয়েছে বলে খবর।

Advertisement

২০১৭ সালের ডিসেম্বরে হাওড়ায় প্রাথমিক শিক্ষিকার চাকরি পান পারমিতা। ২০২০ সালের ডিসেম্বরে বাড়ির অদূরে মাংলই প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বদলি হয়ে আসেন তিনি। অভিযোগ ছিল, পারমিতার চাকরি এবং বদলি দুই-ই প্রভাব খাটিয়ে হয়েছিল। কয়েক মাস আগে হাই কোর্টের নির্দেশে রাজ্যের যে ২৬৯ জন প্রাথমিক শিক্ষক চাকরি খোয়ান, তাঁদের মধ্যে ছিলেন পারমিতাও। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মাইশোরার এক বাসিন্দা বলেন, ‘‘তাপস মণ্ডল টাকার বিনিময়ে চাকরি দিতেন। ওঁর ভ্রাতৃবধূকেও চাকরি করে দিয়েছিলেন। আমাদের বিশ্বাস তাপসের দুর্নীতির শিকড় মাইশোরাতেও ছড়িয়ে রয়েছে।’’

তবে বিভাসের দাবি, ‘‘দাদা এখানে থাকেন না। এখানে ওর একটি টিচার্স ট্রেনিং কলেজ রয়েছে। ওর লোকেরাই তা দেখভাল করে। আর মিনার্ভার সাইনবোর্ড খুলে নেওয়া হয়নি। শিক্ষক দুর্নীতিতে দাদার কোনও যোগ আছে কিনা সেটা আমরা জানি না।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement