তাজপুরে প্রস্তাবিত সমুদ্রবন্দর ঘিরে চমকের ইঙ্গিত

সরকারি সূত্রের খবর, কেন্দ্রের বদলে রাজ্য সরকার নিজেরা তাজপুরের সমুদ্রবন্দর তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরে তা নিয়ে এত দিন ধরে প্রস্তুতি চলছিল রাজ্য প্রশাসনের অন্দরে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১১ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৩:০৫
Share:

শিল্প ও বাণিজ্য সম্মেলন উপলক্ষে সেজে উঠেছে কনভেনশন সেন্টার। মঙ্গলবার দিঘায়। নিজস্ব চিত্র

পূর্ব মেদিনীপুরে আজ, বুধবার শুরু হচ্ছে ‘বেঙ্গল বিজনেস কনক্লেভ’। দিঘায় দু’দিনের এই কনক্লেভে দেশ-বিদেশের প্রতিনিধিদের স্বাগত জানাতে প্রস্তুত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর, তাজপুরে প্রস্তাবিত সমুদ্রবন্দর প্রকল্প নিয়ে চমক থাকতে পারে কনক্লেভে।

Advertisement

সরকারি সূত্রের খবর, কেন্দ্রের বদলে রাজ্য সরকার নিজেরা তাজপুরের সমুদ্রবন্দর তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরে তা নিয়ে এত দিন ধরে প্রস্তুতি চলছিল রাজ্য প্রশাসনের অন্দরে। তার পূর্ণতার বার্তা রাজ্য এই সম্মেলনে দিতে পারে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট শিবির। গত ‘বেঙ্গল গ্লোবাল বিজনেস সামিট’-এর মতো এ বারেও সহযোগী দেশগুলির সঙ্গে সমঝোতা আরও মজবুত করতে চান মুখ্যমন্ত্রী। তাই কর্পোরেট দুনিয়ার তাবড় ব্যক্তিদের পাশাপাশি একাধিক দেশের রাষ্ট্রদূত, আন্তর্জাতিক ও দেশীয় বণিকসভা, শিল্প সংগঠন, বড়, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পপতিদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। ডেউচা পাঁচামির কয়লার ব্লক ইতিমধ্যেই পেয়ে গিয়েছে রাজ্য। ফলে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে কয়লা উত্তোলনের প্রযুক্তিতে এগিয়ে থাকা কয়েকটি দেশের প্রতিনিধিত্বের সম্ভাবনাও রয়েছে। দু’দিন মিলিয়ে কনক্লেভে কমবেশি দেড় হাজার প্রতিনিধি থাকতে পারেন। পাঁচটি হেলিপ্যাড তৈরি করা হয়েছে।

এই সম্মেলনে উৎপাদন ক্ষেত্র, বড় শিল্প, বাণিজ্য ও পরিষেবা, পরিকাঠামো, বিদ্যুৎ, পরিবহণ, পর্যটন, কৃষি ও সহযোগী ক্ষেত্র এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে নজর দিচ্ছে রাজ্য। দিঘা, মন্দারমণি, তাজপুরকে ঘিরে দীর্ঘদিন ধরেই পর্যটন-বৃত্ত গড়ে তোলার পরিকল্পনা করছে সরকার। প্রশাসনিক কর্তাদের অনেকেই মনে করছেন, দেশ-বিদেশে এই এলাকার আকর্ষণ এবং চাহিদা বাড়াতে ভবিষ্যতে একাধিক তারকা হোটেল তৈরির প্রস্তাবেও সবুজ সঙ্কেত দিতে পারে রাজ্য। সম্ভাব্য সেই কারণে কনক্লেভে উপস্থিত থাকতে পারেন বড় হোটেল সংস্থার প্রতিনিধিরাও।

Advertisement

আরও পড়ুন: কলকাতা ও অন্যত্র পুর নির্বাচন হতে পারে পৃথক দিনে

মঙ্গলবার শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখেন শিল্প ও অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র, স্বরাষ্ট্র ও শিল্পসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অন্যান্য প্রশাসনিক কর্তা। পরে অমিতবাবু বলেন, “অন্য রাজ্যগুলিতে শুধু রাজধানী শহরে শিল্প সম্মেলন হয়। বিকেন্দ্রীকরণের মাধ্যমে গোটা রাজ্যে শিল্পের যে-পরিস্থিতি রয়েছে, বিনিয়োগকারীদের তা বোঝানোর চেষ্টা করছে কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ সরকার।”

আরও পড়ুন: বিধায়ক কেমন? জনতার কাছে জানতে চান পিকে

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement