ইকো পার্কে জনতার ভিড়। ছবি: অর্ণব দত্ত।
বড়দিনের পর বর্ষশেষেও ভিড়ের লড়াইয়ে ইকো পার্ককে টেক্কা দিয়েছিল আলিপুর চিড়িয়াখানা। দুই উৎসবের দিনে চিড়িয়াখানাই ভিড়-যুদ্ধে সেরার শিরোপা পেয়েছিল। কিন্তু নববর্ষে পাল্টে গেল সেই ছবি। ইকো পার্কের কাছে প্রায় ছ’হাজারে হারল চিড়িয়াখানা।
শীতের আমেজ গায়ে মেখে নববর্ষের সকাল থেকেই রাস্তায় নেমে পড়ে জনতা। উদ্দেশ্য ট্রেন-বাস-ট্যাক্সি-মেট্রো কিংবা প্রাইভেট গাড়ি চেপে নিজেদের গন্তব্যে পাড়ি দেওয়া। কেউ কেউ মা-বাবা, পরিবারের সঙ্গে ঘুম ভাঙা চোখে ঢুলতে ঢুলতে হাজির চিড়িয়াখানায়। কারও গন্তব্য আবার ইকো পার্ক, নিকো পার্ক। বেলা যত বেড়েছে ততই ভিড় বেড়েছে কলকাতার রাস্তায়। কোথায় ভিড় ৯০ হাজার ছাড়িয়েছে, কোথাও আবার ৭০ হাজার। আবার কিছু জায়গার ভিড় ১০ হাজারের গণ্ডিও পার করতে পারেনি।
সায়েন্স সিটি হোক বা ভিক্টোরিয়া— শহরের দুই গন্তব্যকে ঘোরার তালিকায় রেখেছিলেন অনেকেই। নববর্ষে ভিক্টোরিয়ায় মানুষের ভিড় হয়েছিল ৩৮ হাজার ৩৫০। কিছুটা পিছিয়ে সায়েন্স সিটি। সেখানে ভিড় হয়েছে ৩০ হাজার ৩২৫। কলকাতার অন্যান্য দর্শনীয় স্থানের তুলনায় নববর্ষে জাদুঘরে অনেকটাই ভিড় কম। বুধবার সেখানে জড়ো হয়েছিলেন আট হাজার জন।
তবে আলিপুরের চিড়িয়াখানা এবং ইকো পার্ক ছাড়়াও ভিড়ের লড়াইয়ে ছিল কাশীপুর উদ্যানবাটী। কল্পতরু উৎসবকে সামনে রেখে এই দিনে বহু পুণ্যার্থী সেখানে ভিড় জমান। হিসাব অনুযায়ী, নববর্ষে উত্তর কলকাতার এই দর্শনীয় স্থানে ভিড় হয়েছিল ৭১ হাজার। তবে শেষ হাসি হাসল নিউ টাউনের ইকো-ট্যুরিজ়ম পার্ক। সেখানে ভিড় করেছিলেন ৯১ হাজার ৬৮৩ জন। আর সেখানে চিড়িয়াখানায় দর্শনার্থীদের সংখ্যা ছিল ৮৫ হাজার ৩৮৬।