দিঘায় সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী। শুক্রবার। নিজস্ব চিত্র
শিল্প সম্মেলন শুরুর দিনই শোনা গিয়েছিল, তাজপুরে যেতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার শিল্প সম্মেলন শেষ হওয়ার পরেও দিঘায় থেকে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাতে আশা জেগেছিল যে, হয়তো কলকাতায় ফেরার আগে বন্দরের তৈরির প্রস্তাবিত জায়গায় যেতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু শুক্রবার বেলা বাড়ার পরেই জানা গেল, ‘দিদি’ তাজপুরে যেতে পারবেন না। সেই খবরে কিছুটা হতাশ হন রামনগর-১ ব্লকের অন্তর্গত তালগাছাড়ি-২ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার মৎস্যজীবী পরিবারগুলি।
জলধা গ্রামের বাসিন্দা অনন্ত বেরার কথায়, ‘‘বুধবার শিল্প সম্মেলন থেকে তাজপুরে বন্দর নির্মাণের আগে সাইট অফিস গড়ে তোলার কাজের সূচনা হয়ে গিয়েছে। তারপর থেকে মুখ্যমন্ত্রী তাজপুরে আসবেন বলে নানা ভাবে শুনতে পাচ্ছিলাম। ভেবেছিলাম হয়তো উনি আসবেন। আমাদের সমস্যার কথা শুনবেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা হল না।’’ হতাশ তাজপুরের অলকেশ বেরা। তিনি বলেন, ‘‘বন্দর করে উঠলে আমরা যাতে কর্মসংস্থান পেতে পারি, তার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কাছে সরাসরি আবেদন জানাতে পারব বলে ভেবেছিলাম। শুক্রবার সকাল থেকে অপেক্ষাও করছিলাম। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী এলেন না।’’
সম্ভাবনা থাকলেও এ দিন দিঘা থেকে তাজপুর বা অন্য কোথাও যাননি মুখ্যমন্ত্রী। বরং দুপুর সাংবাদিক বৈঠক সেরে ১টা নাগাদ সোজা গাড়ি চেপে চলে যান দিঘা হেলিপ্যাডে। সেখান থেকে কপ্টারে চেপে কলকাতা রওনা দেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রীকে বিদায় জানানোর জন্য হেলিপ্যাডে ছিলেন তমলুকের সংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী ও স্থানীয় বিধায়ক অখিল গিরি। দলের অন্য কর্মীরাও দলীয় পতাকা হাতে মুখ্যমন্ত্রীকে বিদায় জানাতে উপস্থিত ছিলেন।
এ বার হল না। তাই পরের বার মুখ্যমন্ত্রীর আগমনের অপেক্ষায় এখন থেকেই দিন গুনছেন সেখানের বাসিন্দারা।