Suvendu Adhikari

Suvendu Adhikari: রাজ্যে ঘোরাফেরার স্বাধীনতা নেই, মৌলিক অধিকার খর্ব করা হচ্ছে, রাজ্যপালকে চিঠি শুভেন্দুর

শুভেন্দুর দাবি, আইনের রক্ষক হিসাবে তাঁর মৌলিক অধিকার রক্ষার দায়িত্বে থাকলেও পশ্চিমবঙ্গ সরকারের নির্দেশে তা তাতে বাধা দিচ্ছে রাজ্য পুলিশ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৮ জানুয়ারি ২০২২ ০০:২৬
Share:

বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ফাইল চিত্র।

রাজ্যে অবাধে ঘোরাফেরায় তাঁকে বার বার বাধার মুখে পড়তে হচ্ছে বলে দাবি করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এর জেরে তাঁর মৌলিক অধিকার খর্ব হচ্ছে বলেও দাবি করেছেন তিনি। এই মর্মে যথোপযোগী পদক্ষেপের জন্য রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় এবং জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছেন শুভেন্দু।

Advertisement

বৃহস্পতিবার রাজ্যপালের পাশাপাশি মানবাধিকার কমিশনেও চিঠি লিখেছেন শুভেন্দু। চিঠিতে তাঁর দাবি, আইনের রক্ষক হিসাবে তাঁর মৌলিক অধিকার রক্ষার দায়িত্বে থাকলেও পশ্চিমবঙ্গ সরকারের নির্দেশে তাতে বাধা দিচ্ছে রাজ্য পুলিশ। রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় তাঁকে বার বার পুলিশি বাধার মুখে পড়তে হয়েছে বলেও অভিযোগ শুভেন্দুর।

রাজ্যপালকে পাঠানো চিঠি।

চিঠিতে তাঁর দাবি, বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পদমর্যাদার আধিকারিকেরা তাঁর অবাধে ঘোরাফেরায় বাধার সৃষ্টি করছেন। এ প্রসঙ্গে বৃহস্পতিবার বিকাশ ভবনের ঘটনার কথাও চিঠিতে উল্লেখ করেছেন শুভেন্দু।

Advertisement

প্রসঙ্গত, রাজ্যের স্কুল-কলেজ খোলার দাবি জানাতে বৃহস্পতিবার বিকেলে বিকাশ ভবনে শিক্ষা সচিবের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন শুভেন্দু। তাঁর সঙ্গে ছিলেন রাজ্য বিজেপি-র নেতা-নেত্রী এবং বিধায়কেরা। কিন্তু শুরুতেই পুলিশি বাধার মুখে পড়েন শুভেন্দু। এমনকি, জোর করে বিকাশ ভবনে ঢুকতে গেলে পুলিশের সঙ্গে বচসায়ও জড়িয়ে প়ড়েন তিনি। এর পর বিকাশ ভবনের রাস্তায় বিক্ষোভ-অবস্থানে বসেন শুভেন্দুরা।

নিজের চিঠিতে এই ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে শুভেন্দু লিখেছেন, ‘রাজ্যে ঘোরাফেরার ক্ষেত্রে বার বার পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের দ্বারা বাধার সম্মুখীন হচ্ছি। আজও বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেট এলাকায় সল্টলেকে একই পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছিলাম।’ শুভেন্দুর দাবি, রাজ্যের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি পুনরায় খোলার বিষয়ে উচ্চশিক্ষা দফতরের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারির সঙ্গে দেখা করতে বিকাশ ভবনে দিকে যাওয়ার পথে বাধাপ্রাপ্ত হয়েছেন তাঁরা। তিনি লিখেছেন, ‘বিকাশ ভবনের ঠিক বাইরে বিধাননগর কমিশনারেটের ডিসি আইপিএস উমেশ গণপতের নেতৃত্বে প্রায় একশো পুলিশকর্মী আমাদের পথ আটকে দাঁড়ান।’ কেন তাঁদের বাধার মুখে পড়তে হল, তা নিয়ে পুলিশ কোনও সদুত্তর দিতে পারেনি বলেও দাবি শুভেন্দুর।

বিকাশ ভবনের মতোই চলতি মাসে নেতাইয়ে ঢুকতেও একই ভাবে তাঁকে বাধা দেওয়া হয়েছিল বলে চিঠিতে উল্লেখ করেছেন শুভেন্দু। তাঁর প্রশ্ন, রাজ্যের বিরোধী দলনেতারই যদি অবাধে ঘোরাফেরার স্বাধীনতা না থাকে এবং এ ভাবে বার বার অপমানিত হতে হয়, তবে সাধারণ মানুষের বা বিরোধীদের অবস্থা সহজেই অনুমেয়। এ বিষয়ে পদক্ষেপের আর্জিও জানিয়েছেন শুভেন্দু।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement