—নিজস্ব চিত্র।
প্রজাতন্ত্র দিবসের উদ্যাপনে দিল্লিতে কুচকাওয়াজে বাংলার সুভাষ-ট্যাবলো বাতিল নিয়ে এ বার বিতর্কিত মন্তব্য করলেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। পাশাপাশি তিনি এ-ও বলেন, ‘‘কোথায় স্ট্যাচু বসবে, এমন সব তুচ্ছ বিষয় নিয়ে আমরা নিজেদের মধ্যে লড়াই করছি। এতে কি গরিব মানুষের পেট ভরবে?’’
বুধবার শান্তিনিকেতনের বিনয় ভবনের মাঠে প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে গিয়ে বিদ্যুৎ বলেন, ‘‘সমালোচনা পাল্টা সমালোচনার মধ্যেই আমরা বেঁচে আছি। তুচ্ছ সব বিষয় নিয়ে নিজেদের মধ্যে লড়ছি। কোথায় স্ট্যাচু হবে, কোথায় ট্যাবলো যাবে, এখন এই বিষয়গুলি বড় হয়ে যাচ্ছে। এতে কি গরিব মানুষের পেট ভরবে?’’
এখানেই থেমে থাকেননি বিদ্যুৎ। উত্তরাখণ্ডের রামগড়ে বিশ্বভারতীর দ্বিতীয় ক্যাম্পাস চালু করা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের একাংশ সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। তা নিয়ে বিদ্যুৎ বললেন, ‘‘আমি আর কেন্দ্রীয় সরকার নাকি বিশ্বভারতীকে অন্যত্র সরানোর ষড়যন্ত্র করছি। এটা কি সম্ভব? আমার ধারণা ছিল, এখানকার অধ্যাপকেরা বুদ্ধিমান। কিন্তু এঁদের যা বুদ্ধিমত্তা দেখছি, তা নিয়ে আমার আর কিছু বলার নেই। এঁরা যাতে এখানে পড়াতে না পারেন, আমি সেই চেষ্টা করতে পারি। কিন্তু তা তো আর করা যাবে না।’’