পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং শুভেন্দু অধিকারী ফাইল চিত্র
নন্দীগ্রামে জামানত বাজেয়াপ্ত হবে বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীর। তিনি নিজেও তা জানেন। শুক্রবার তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠকে শুভেন্দুকে কটাক্ষ করে এমনই মন্তব্য করলেন তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
নীলবাড়ি দখলের লড়াইয়ে এ বারের বিধানসভা নির্বাচনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আসন নন্দীগ্রাম। সেখানে তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছেন তৃণমূলনেত্রী তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন তাঁরই এক সময়ের সহকর্মী, বর্তমানে বিজেপি-তে যোগ দেওয়া শুভেন্দুর বিরুদ্ধে। ফলে লড়াইটা যে ‘কঠিন’ তা মানছেন রাজনীতির কারবারিরা। গত বুধবার প্রার্থিপদের মনোনয়ন জমা দিয়েছেন মমতা। শুক্রবার মিছিল করে মনোনয়ন জমা দিতে যান শুভেন্দু। সঙ্গে ছিলেন দুই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি এবং ধর্মেন্দ্র প্রধান। মিছিল শেষে সভা থেকে শুভেন্দু বলেন, ‘‘নন্দীগ্রাম শুধুমাত্র একটি বিধানসভা কেন্দ্র নয়, এর সঙ্গে বাংলার ১১ বছরের পরিবর্তনও যুক্ত রয়েছে।’’ বিজেপি-তে কেন এসেছেন শুক্রবার সেই প্রসঙ্গে শুভেন্দু বলেন, ‘‘তৃণমূল একটা প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানীতে পরিণত হয়েছে। রাজনৈতিক বিশ্বাসযোগ্যতা পশ্চিমবঙ্গে শেষ হয়ে গিয়েছে। এই দলের নেত্রী ও তাঁর ভাইপোই সব। বাকি সবাই ল্যাম্পপোস্ট। এর থেকে রাজ্যকে উদ্ধারের কাজে নেমেছি।’’
শুভেন্দুর এই মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় পার্থ বলেন, ‘‘২০১১ সালের সব ভুল ২০২১ সালে এসে শুভেন্দুর মনে পড়ল। উনি যা বলছেন সেটা সুস্থ মস্তিষ্কের কেউ বলবেন না।’’ এর পরই তিনি বলেন, ‘‘শুভেন্দু নিজেও জানেন জয় তো দূরের কথা, নন্দীগ্রামে তাঁর জামানত বাজেয়াপ্ত হবে।’’ শুভেন্দুকে মুখ করে বিজেপি মিথ্যা তথ্য পরিবেশন করছে বলেও অভিযোগ করেন করেন পার্থ।
শুক্রবার দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার পবিত্র সাপুই, সুমিত দে এবং সঞ্জয় চক্রবর্তী নামে বেশ কয়েকজন বিজেপি নেতা তৃণমূলে যোগ দেন। তাঁদের হাতে তৃণমূল ভবনে দলীয় পতাকা তুলে দিয়ে পার্থ জানান, বিজেপি ছেড়ে আসা ওই নেতারা বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থীদের হয়ে প্রচার করবেন।