রাসবিহারীর মঞ্চে শুভেন্দু অধিকারী। —নিজস্ব চিত্র।
২১ বছর এক সঙ্গে থাকা 'দিদি' মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে এ বার নন্দীগ্রামে সামনা-সামনি লড়াই। যেন ঘোষণাই করে দিলেন শুভেন্দু অধিকারী। সোমবার রাত সাড়ে ৯টায় টুইট করে জানালেন, 'এ বার নন্দীগ্রামে সামনা-সামনি দেখা হবে'।
সোমবার দুপুরে নন্দীগ্রামে গিয়ে মমতা ঘোষণ করেন তিনি সেখান থেকেই আগামী বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী হবেন। তার কিছুক্ষণ পরেই দক্ষিণ কলকাতায় বিজেপির মিছিলে যোগ দেন শুভেন্দু। মিছিল চলার সময় সংবাদমাধ্যমকে প্রথমে শুভেন্দু জানিয়েছিলেন, মঙ্গলবার পূর্ব মেদিনীপুরের খেজুরিতে সমাবেশ করে নন্দীগ্রাম প্রসঙ্গে মমতার বক্তব্যের জবাব দেবেন। কিন্তু সময় নষ্ট না করে কিছুক্ষণ পরেই রাসবিহারীর মঞ্চ থেকে চ্যালেঞ্জ ছোড়েন। বলেন, ‘‘নন্দীগ্রামে মাননীয়াকে যদি হাফ লাখ ভোটে হারাতে না পারি, রাজনীতি ছেড়ে দেব।’’ তবে তখন তিনি সরাসরি বলেননি তিনি বিজেপির টিকিটে নন্দীগ্রামেই প্রার্থী হবেন কি না। বলেছিলেন, ‘‘আমি একটা শৃঙ্খলাবদ্ধ পার্টির সদস্য আর তৃণমূল প্রাইভেট লিমিটেড কমিটি। দেড় জনের পার্টি। মঞ্চে দাঁড়িয়ে মাননীয়া কোম্পানির সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে দিলেও আমি তা পারি না। বিজেপি-তে তা করা যায় না। কিন্তু দল আমাকে প্রার্থী করুক বা অন্য কাউকে, পদ্ম প্রতীক নিয়ে যে-ই লড়ুক, মাননীয়াকে হারাবই হারাব!’’ কিন্তু সেই বক্তব্যের পরে কয়েক ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই শুভেন্দুর টুইট বার্তা। যেখানে তিনি লিখেছেন, 'স্বাগতম দিদি। ২১ বছর সঙ্গে ছিলাম। এবার নন্দীগ্রামে সামনা-সামনি দেখা হবে'। শুধু বাংলা নয়, ইংরেজি ও হিন্দিতেও একই কথা টুইট করেছেন শুভেন্দু। হিন্দির ক্ষেত্রে জুড়েছেন আরও একটি কথা-- 'ইন্তেজার রহেগা' (অপেক্ষায় থাকব)।
রাসবিহারীর মঞ্চে শুভেন্দুর পাশে ছিলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সেখানে শুভেন্দু যা বলেন তাতে দলের সিদ্ধান্তের 'অপেক্ষা'-র কথা শোনা গেলেও একটা ইঙ্গিত ছিল যে, দল তাঁকে নন্দীগ্রামেই লড়ার টিকিট দেবে বলে আশা করছেন তিনি। কিন্ত সোমবার রাতের টুইটে শুভেন্দু যেন সরাসরি জানিয়ে দিলেন, নন্দীগ্রামেই তিনিই প্রার্থী হচ্ছেন। তবে কি এরই মধ্যে নেতৃত্বের অনুমোদন এসে গিয়েছে তাঁর কাছে? রাত পর্যন্ত বিজেপি সূত্রে তা নিশ্চিত ভাবে জানা যায়নি।