—প্রতীকী ছবি।
অসংগঠিত ক্ষেত্রে বেড়েছে কর্মসংস্থান। নতুন বছরের জানুয়ারির শেষে সেই তথ্য প্রকাশ করল কেন্দ্রের পরিসংখ্যান এবং কর্মসূচি বাস্তবায়ন মন্ত্রক। সরকার জানিয়েছে, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গত বছরের সেপ্টেম্বরের মধ্যে অসংগঠিত ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ১২.৮৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে সেখানে কর্মসংস্থানের সূচক ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে ১০.০১ শতাংশ।
চলতি বছরের ২৮ জানুয়ারি অসংগঠিত ক্ষেত্র নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ করে কেন্দ্র। সেখানে বলা হয়েছে, এক বছরে এই ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠান এবং কর্মসংস্থান দু’টিই বৃদ্ধি পাওয়ায় বর্তমান মোট মূল্য সংযোজনের (গ্রস ভ্যালু অ্যাডেড বা জ়িভিএ) সূচকও উপরের দিকে চড়েছে। ২০২২-’২৩ আর্থিক বছরের তুলনায় ওই সূচক ১৬.৫২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
ভারতীয় অর্থনীতির একটি উল্লেখ্যযোগ্য অংশ হল অসংগঠিত ক্ষেত্র। মূলত, মালিক পরিচালিত ব্যবসা এর আওতাভুক্ত। তবে অসংগঠিত ক্ষেত্রের প্রতিষ্ঠানগুলির মালিকদের পৃথক আইনি সত্ত্বা আলাদা করে নিবন্ধিত হয় না। প্রতি বছর সারা দেশে ছড়িয়ে থাকা এই ধরনের সংস্থাগুলিকে নিয়ে সমীক্ষা রিপোর্ট প্রকাশ করেছে কেন্দ্র।
পরিসংখ্যান এবং কর্মসূচি বাস্তবায়ন মন্ত্রক জানিয়েছে, ২০২৩-’২৪ আর্থিক বছরের সমীক্ষা অনুযায়ী, অসংগঠিত ক্ষেত্রের প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৬.৫ কোটি থেকে বেড়ে ৭.৩৪ কোটিতে পৌঁছেছে। মোট মূল্য সংযোজনের নিরিখে প্রথম তিনে রয়েছে মহারাষ্ট্র, উত্তরপ্রদেশ এবং গুজরাট।
কেন্দ্রের দাবি, অসংগঠিত ক্ষেত্রের মধ্যে কৃষি ছাড়া অন্য সংস্থাগুলিতে ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গত বছরের সেপ্টেম্বরের মধ্যে কর্মী নিয়োগ হয়েছে ১২ কোটি। ২০২২-’২৩ আর্থিক বছরে এই সংখ্যা ১০ কোটি ছিল বলে জানা গিয়েছে। এতে শক্তিশালী শ্রম বাজারের বৃদ্ধি প্রতিফলিত হয়েছে বলে স্পষ্ট করেছে সরকার। সমীক্ষা অনুযায়ী, অসংগঠিত ক্ষেত্রে এক তৃতীয়াংশের বেশি নিয়োগের হয়েছে উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র এবং পশ্চিমবঙ্গে।
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, অসংগঠিত ক্ষেত্রে মহিলা কর্মীদের অনুপাত ২৫.৬৩ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ২৮.১২ শতাংশে গিয়ে দাঁড়িয়েছে। তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, এই শ্রেণিভুক্ত উৎপাদনের সঙ্গে জড়িতে সংস্থাগুলির ৫৮ শতাংশের মালিকানা রয়েছে মহিলাদের হাতে।
সমীক্ষায় আরও বলা হয়েছে, অসংগঠিত ক্ষেত্রের মালিক এবং কর্মীরা ব্যবসার পরিধি বৃদ্ধি করতে ইন্টারনেটের উপর নির্ভরশীলতা বাড়িয়েছেন। ২০২২-’২৩ আর্থিক বছরে গ্রামাঞ্চলে এই কাজে ইন্টারনেট ব্যবহারের পরিমাণ ছিল ১৩.৫ শতাংশ। ২০২৩-’২৪ আর্থিক বছরে সেটা বেড়ে ১৭.৯ শতাংশে পৌঁছে যায়। শহরাঞ্চলে সূচকটি ৩০.২ শতাংশ থেকে বেড়ে ৩৭ শতাংশ হয়েছে।