শাহনাজ বেগম ও শুভেন্দু অধিকারী।
শুভেন্দু অধিকারী বিজেপি-তে যোগ দিয়ে ‘তোলাবাজি’-র অভিযোগ তুলেছিলেন। স্লোগান দিয়েছিলেন, ‘‘তোলাবাজ ভাইপো হঠাও।’’ সেই শুভেন্দুকেই প্রকাশ্যে পাল্টা ‘তোলাবাজ’ বলায় আইনি চিঠি পেলেন মুর্শিদাবাদের তৃণমূল সভানেত্রী। নোটিসে বলা হয়েছে, ৭ দিনের মধ্যে মন্তব্য প্রত্যাহার করার পাশাপাশি মৌখিক বা লিখিত ভাবে ক্ষমা চাইতে হবে। তা না হলে মুর্শিদাবাদের তৃণমূল সভানেত্রী শাহনাজ বেগমের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করা হবে।
শুভেন্দুর তরফে তাঁর আইনজীবী ওই নোটিস পাঠিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে শাহনাজের প্রতিক্রিয়া, ‘‘আমি নোটিস মেনে কোনও কাজই করব না। সে জন্য যদি আইনি পথে লড়তে হয় তবে তা করতেও রাজি আমি। সেই পথেই এগোব।’’
নেটমাধ্যমে শুভেন্দুকে ‘তোলাবাজ’ বলেছিলেন শাহনাজ। সরাসরি নয় অবশ্য। ফেসবুকে লিখেছিলেন, ‘শুভেন্দু অধিকারী মুর্শিদাবাদে এসে প্রমাণ দিন যে উনি নিজে তোলাবাজ নন’। সেই পোস্ট সরিয়ে নেওয়ার জন্য এসেছে শুভেন্দু অধিকারীর আইনি নোটিস। সোমবার ওই নোটিস নিয়ে মুর্শিদাবাদের তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠক করেন শাহনাজ। তিনি জানান, গত ৪ ফেব্রুয়ারি তাঁর নামে ওই নোটিস আসে। ৭ দিনের নোটিসের মেয়াদ অনুযায়ী আগামী ১১ তারিখের মধ্যে ক্ষমা চাইতে বলা হয়েছে। তবে তিনি ক্ষমা চাইবেন না। বরং শুভেন্দুকে ‘তোলাবাজ নন’ প্রমাণ করার যে আহ্বান তিনি জানিয়েছেন, তাতেই স্থির থাকতে চান শাহনাজ।
তাঁর কথায়, ‘‘বিজেপি-তে যাওয়া অবধি শুভেন্দু আমাদের নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে তোলাবাজ প্রমাণ করতে উঠে পড়ে লেগেছেন। আমার বিষয়টি খারাপ লেগেছিল। তাই আমি নেটমাধ্যমে ওঁকে বলি, উনি নিজেও যে তোলাবাজ নন সেটাও প্রমাণ করা দরকার। আমাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ওঁকে যে সব জেলার পর্যবেক্ষক করেছিলেন, সেখানে যে উনি তোলাবাজি করেননি সেটাই ওঁকে প্রমাণ করতে বলেছি। সেই সঙ্গে বলি, নিজেকে প্রমাণ করার শুরু উনি বরং মুর্শিদাবাদ থেকেই করুন।’’ তারই জবাবে এসেছে এই আইনি নোটিস।
শাহনাজ জানিয়েছেন, তিনি ওই নোটিসের বিরোধিতা আইনি পথেই করবেন। এ ব্যাপারে ইতিমধ্যেই যুব তৃণমূল সভাপতি অভিষেকের সঙ্গে কথা হয়েছে তাঁর। দলের বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্ষের সঙ্গেও আলোচনা হয়েছে বলে জানান শাহনাজ।