বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ফাইল চিত্র
আরও এক সমবায় ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যানের পদ খোয়ালেন শুভেন্দু অধিকারী। কাঁথি সমবায় ব্যাঙ্কের ধাঁচেই এবার তাঁকে সরানো হল মেদিনীপুর বিদ্যাসাগর সেন্ট্রাল কো-অপারেটিভের চেয়ারম্যান পদ থেকে।
বৃহস্পতিবার সমবায় ব্যাঙ্কের মেদিনীপুরের দফতরেই ডিরেক্টরদের এক বৈঠক ডাকা হয়। সেখানেই ১৪ জন সদস্য তাঁর অপসারণের সিদ্ধান্তে সিলমোহর দেন। গত অগস্ট মাসেই মেদিনীপুরে ওই সমবায় ব্যাঙ্কের প্রধান শাখাতেই বিরোধী দলনেতাকে সরাতে এক বৈঠক হয়েছিল। সেখানেই চেয়ারম্যান পদ থেকে তাঁকে সরানোর সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছিল। সেই সিদ্ধান্তেই সিলমোহর পড়ে গেল বৃহস্পতিবার।
এ ক্ষেত্রে নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়কের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয় থাকার অভিযোগ এনেছেন সমবায় ব্যাঙ্কের ডিরেক্টররা। চেয়ারম্যানের অনুপস্থিতির কারণে ব্যাঙ্কের বহু কাজ করা যাচ্ছিল না। এমনকি বহু সিদ্ধান্তও নাকি ঝুলে রয়েছে তাঁর অনুপস্থিতির কারণেই। তাই সমবায় ব্যাঙ্কের বৈঠকে তাঁকে সরানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তৃণমূল বিধায়ক দিনেন রায় বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে এই পদে বসিয়েছিলেন। তিনি তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি-তে গিয়েছেন। তখনই তাঁর এই পদ থেকে ইস্তফা দেওয়া উচিত ছিল। কিন্ত তিনি ইস্তফা না দেওয়ায় তাঁকে সরাতে বাধ্য হলেন সমবায়ের ডিরেক্টররা।’’ ১৫ জন বোর্ড সদস্যের মধ্যে ১৪ জন বৈঠকে হাজির হয়ে তাঁর অপসারণের সিদ্ধান্তে সায় দিয়েছেন বলেই দাবি করা হয়েছে।
একই অভিযোগ এনে শুভেন্দুকে সরানো হয়েছিল কাঁথি সমবায় ব্যাঙ্ক থেকেও। সেক্ষেত্রে পাল্টা শুভেন্দু শিবিরের জবাব, যেভাবে নন্দীগ্রাম বিধায়কের অপসারণ হয়েছে, তা সম্পূর্ণ বেআইনি। যথা সময় এ বিষয়ে জবাব দেওয়া হবে। বিগত ১০ বছর ধরে শুভেন্দু বিদ্যাসাগর সেট্রাল কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান পদে রয়েছেন। নয়ের দশক থেকে সমবায় রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হলেও, ২০০৯ সালে তমলুক থেকে তৃণমূলের প্রতীকে সাংসদ নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই সমবায় রাজনীতিতে তাঁর দাপট বেড়েছে। কিন্তু গত বছর ডিসেম্বর মাসেই তিনি তৃণমূল ছেড়ে যোগ দিয়েছেন বিজেপি-তে। বর্তমানে তিনিই রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা। আর বিধানসভা ভোটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার তৃতীয় বার ক্ষমতা দখলের পরেই সমবায় রাজনীতি থেকে শুভেন্দুর ডানা ছাঁটার কাজ শুরু হয়েছে।